পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
তুরস্কের সাফল্যে ইউরোপ হতবাক হয়ে গেছে এবং বিশ্বও বিস্মিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিব এরদোগান। তিনি বলেন, তুরস্ক সবুজ উন্নয়নের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে তা পূরণে কাজ করে যাচ্ছে। তুরস্কের গণমাধ্যম হুররিয়াত ডেইলি নিউজ এ তথ্য জানায়। ২০২৩ সালকে গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে এরদোগান বলেন, তুরস্ক বিনিয়োগ, উৎপাদন ও কর্মসংস্থানের মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের পরিকল্পিত অগ্রযাত্রায় ইউরোপ হতবাক হয়ে গেছে এবং বিশ্বও বিস্মিত। ইস্তাম্বুলে একটি জাতীয় উদ্যান উদ্বোধনের সময় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা দেশের ৮১ প্রদেশের ৬৬ মিলিয়ন স্কয়ার মিটার এলাকাজুড়ে ৪০৪টি জাতীয় উদ্যান তৈরি করব। এখন পর্যন্ত ১১টি জাতীয় উদ্যানের কাজ শেষ করা হয়েছে। এরদোগান বলেন, ২০২৩ সালের মধ্যে বাকি উদ্যানগুলোর কাজ শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে সরকার। তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, আতাতুর্ক বিমানবন্দরের জায়গায় এই সবচেয়ে বড় উদ্যান তৈরি করা হবে। এটি হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় উদ্যানগুলোর একটি। এ ছাড়া নগর রূপান্তর প্রকল্প, যা প্রাথমিকভাবে ইস্তান্বুলে শুরু হয়ে তা ক্রমান্বয়ে সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে জানান এরদোগান। অপরদিকে, লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ আল-দাবিবাহর সাথে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিব এরদোগান। স্থানীয় সময় শুক্রবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। খবর হুররিয়াত ডেইলি নিউজ। খবরে বলা হয়, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তুরস্কের সাথে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হয়েছে লিবিয়ার। আগামী ২৪ ডিসেম্বর লিবিয়ায় জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ বিষয়ে মধ্যপ্রাচ্য বিশ্লেষক ও তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আনাদোলু নিউজের চিফ রিপোর্টার বলেন, তুরস্ক এবং লিবিয়ার সম্পর্ক প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো। বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকেও লিবিয়া উসমানীয় খেলাফতের অধীনেই ছিল। কিন্তু কখনোই লিবিয়ার সাথে তুরস্কের সম্পর্ক খুব খারাপ ছিল না। তিনি বলেন, শুধুমাত্র গাদ্দাফির পতনের পূর্বে লিবিয়ার সাথে সম্পর্ক খারাপ ছিল। তবে তুরস্কের সাথে বর্তমানে লিবিয়ার যে দহরম-মহরম সম্পর্ক সেটি আসলে শুরু হয় ২০১৯ সালের শুরুর দিকে। লিবিয়ায় তখন চলছিল প্রচণ্ড রকম গৃহযুদ্ধ। একদিকে রাশিয়া, আরব আমিরাত, মিশর ফ্রান্স ও গ্রীসের সমর্থিত সন্ত্রাসী হাফতারের বাহিনী অন্যদিকে রাজধানী ত্রিপলিতে অবস্থিত জাতিসংঘ স্বীকৃত সরকার। যুদ্ধে ত্রিপোলি ভিত্তিক আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকার এত কোণঠাসা হয়ে পড়ে যে খলিফা হাফতারের সন্ত্রাসী গ্রুপের কাছে পতন ছিল মাত্র সময়ের ব্যাপার। সেই সময়ে জাতিসংঘের স্বীকৃত সরকারটি বিভিন্ন দেশের কাছে সামরিক সহযোগিতার আবেদন করে। কিন্তু কেউ তাকে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসেনি; বরং দেশটির ওপর জারি করা হয় অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা। বিশ্বের বড় বড় দেশ যেমন ফ্রান্স, রাশিয়া, আমেরিকা, আরব আমিরাত, মিসর এবং গ্রিস লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে ঘাঁটি গেঁড়ে থাকা খলিফা হাফতারকে অস্ত্রশস্ত্র এবং বুদ্ধি পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করে। ঠিক ওই সময় পতনের দ্বারপ্রান্তে থাকা লিবিয়ার এই বৈধ সরকারকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় তুরস্ক। এর পর থেকেই মূলত তুরস্কের সাথে আবারও ঘনিষ্ট সম্পর্কে জড়ায় লিবিয়া। ডেইলি সাবাহ, হুররিয়াত ডেইলি নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।