বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে কক্সবাজারের রাস্তাঘাট বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শহরের অধিকাংশ রাস্তায় চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ায় শহরের অধিবাসীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা পড়েছেন মারাত্মক সমস্যায়।
শহরের নালা-নর্দমা গুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গোটা শহর ময়লার শহরে পরিণত হয়েছে। শত শত দোকানপাট গুলোতে পানি ঢুকে পড়ায় পানিতে ভিজে নষ্ট হয়েগেছে লাখ টাকার মালামাল। এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বিশেষ করে শহরের বড় বাজার এলাকার শত শত দোকানে পানি ঢুকে পড়ায় ওই এলাকার ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন বেশী। দোকান মালিক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি মোস্তাক আহমদ বলেন, শহরের নালা নর্দমা উপচিয়ে শত শত দোকানে ময়লা পানি ঢুকে মালামাল নষ্ট হয়েছে। এতে ব্যবসায়ীদে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান এ বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, কক্সবাজার শহরের এই সমস্যা পুরনো। তিনি এজন্য দুঃখ প্রকাশ করে জানান, অনেক আগে থেকে শহরের মানুষ বর্ষাকালে এই দুর্ভোগ মোকাবেলা করে আসছেন। তবে কক্সবাজারকে আধুনিক পর্যটন শহর হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছ। শহরবাসীর এই দুর্ভোগ থাকবেনা।
এদিকে সরে জমিনে ঘুরে দেখাগেছে, শহরের প্রধান সড়কের রুমালিয়াছরা ও বাজার ঘাটা এলাকা সামন্য বৃষ্টিতেই পানিতে ডুবে যায়। এখানে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে যানবাহন চলাচলে বিঘ্নতা দেখা দেয়।
বাজার ঘাটা, নুরপাড়া ও পেশকার এলাকার অধিকাংশ দোকানে ময়লা পানি ঢুকে মালামাল নষ্ট হয়ে যায়।
ব্যবসায়ীদের মতে নির্বিচারে পাহাড় কাটা ও নালা নর্দমা দখল করে নেয়ায় পানি চলাচলে বিঘ্নতা সৃষ্টি হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই শহরে ময়লা পানির সয়লাব হয়ে যায়।
ইতোমধ্যে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কক্সবাজার শহর উন্নয়নে বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ শুরু করেছেন। তবে দখলকারী ছাড়াও নানা অসহযোগিতায় কউকের কার্যক্রম বিগ্ন হচ্ছ বলে জানাগেছে।
এ প্রসঙ্গে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফোরকান আহমদ বলেন, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কক্সবাজার
উন্নয়নে একটি মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়ে কার্যক্রম শুরু করছে। কিছু কিছু জায়গায় নানা ধরনের সহযোগিতার থাকলেও কক্সবাজারের মানুষ চায় কক্সবাজার একটি আধুনিক পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে উঠুক।
কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়কটি রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্ব সড়ক ও জনপথ বিভাগের হলেও মনে হয়েছে এই বিভাগের যেন কোন মাথা বয়তা নেই।
এদিকে কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত জাফর আলম (আরাকান) সড়কটি একন মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে। মরিচ্যা, কোর্টবাজার, উখিয়া, বালুখালীসহ বিভিন্ন অংশ যানবাহন চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এি সড়কে চলাচলকারী দুর্ভোগে হাঁপিয়ে উঠছে প্রতিদিন।
এছাড়াও এ সময় দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ায় ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে সাগরের পানি ঢুকে তলীয়ে গেছে বিস্তীর্ণ জনপদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।