পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর পূর্বাচল উপশহরের ৪ নম্বর সেক্টরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ এবং চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশনের স্থায়ী প্যাভিলিয়ন দেখতে প্রতিদিন দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়ছে। মাত্র ১৫ দিন আগে গত ২১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই প্যাভিলিয়ন উদ্বোধন করেন। দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে নতুন বছরের প্রথম দিন শুরু হবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা।
পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার স্থায়ী ঠিকানা হওয়ায় গ্রামের লোকজন সরাসরি সুযোগ পাচ্ছেন মেলার সুবিধা নিতে। ঢাকা বাইপাস মহাসড়কের পাশে পূর্বাচলে ২৬.১০ একর জমিতে গড়ে উঠেছে মেলার স্থায়ী প্যাভিলিয়ন। এতে ফ্লোর স্পেস হচ্ছে ৩৩ হাজার বর্গমিটার, এক্সিবিশন ভবনের ফ্লোর স্পেস ২৪ হাজার ৩৭০ বর্গমিটার এবং এক্সিবিশন হলের আয়তন ১৫ হাজার ৪১৮ বর্গমিটার।
ভবনে পার্কিংয়ের জন্য দোতালার ৫০০টি গাড়ি রাখার জন্য স্পেস হচ্ছে ৭ হাজার ৯১২ বর্গমিটার। আর ভবনের সামনের জায়গাটিতে প্রায় হাজার গাড়ি পার্কিংয়ের সুযোগ থাকবে। তাছাড়াও এক্সিবিশন হলে ৯.৬৭ বর্গমিটার করে ৮০০টি স্টল থাকবে যেখানে দেশি-বিদেশি পণ্যের এক্সিবিশন চলবে। এছাড়াও রয়েছে ৪৭৩ আসন বিশিষ্ট একটি মাল্টি ফাংশনাল হল। ৫০ আসনবিশিষ্ট কনফারেন্স রুম। ৬টি মিটিং রুম, ৫০০ আসনবিশিষ্ট ক্যাফেটেরিয়া, নামাজের জন্য পৃথক জায়গা, দুইটি অফিস রুম, মেডিক্যাল বুথ, গেস্ট রুম, নিজস্ব ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, স্টোর রুম, সেন্ট্রাল এসি, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা এবং অটোমেটিক গেইট।
অত্যন্ত আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ এবং চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারটি বাংলাদেশ এবং চীনের যৌথ অর্থায়নে চীনের নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ‘চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন’ নির্মাণ করেছে। এ বিষয়ে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ.এইচ.এম আহসান বলেন, এতোদিন রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হওয়ায় গ্রামের লোকেরা তেমন সুযোগ পেতেন না। নতুন বছর থেকে মেলার আয়োজন নতুন শহর প্রকল্পে হওয়ায় রাজধানী ছাড়াও নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার গ্রামের লোকজন সহজেই মেলায় আসতে পারবেন।
মেলা এবার খোলামাঠে স্থায়ী প্যাভিলিয়নে হচ্ছে। স্থানীয় শিল্প উদ্যোক্তা ছাড়াও বিদেশি পণ্য আমদানি রফতানিকারকরা সরাসরি বিশেষ সুবিধা ভোগ করবেন। পূর্বাচলে সারা বছর মেলা হওয়াতে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শনী করতে পারবে। সারা বছরই প্রান্তবন্ত থাকবে মেলার স্থায়ী প্যাভিলিয়ন। যার সুফল গ্রামের লোকেরাই বেশি ভোগ করবেন।
রূপগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ছালাউদ্দিন ভুইয়া বলেন, আমাদের বাড়ির পাশেই এমন দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা সরকারের উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত। স্থানীয় উদ্যোক্তারা মেলায় স্টল পেলে আরো অর্থবহ হবে। যদিও গ্রামের লোকেরাই এবার বেশি সুবিধা পাবেন। কারন এ মেলার অবস্থান শতাধিক গ্রাম ঘিরে। এর আশপাশে গ্রামীণ জনপদ থাকায় আন্তর্জাতিক মেলায় অংশ নিতে পারবেন যে কেউ।
মধুখালী এলাকার মাহিরা তাসফি প্রভা বলেন, ১ জানুয়ারি বাণিজ্যমেলা হবে জেনে খুবই ভালো লাগছে। তবে এখনো রাজধানী থেকে যাতায়াতের জন্য একমাত্র ৩০০ ফুট সড়ক মেরামত সম্ভব হয়নি। যা মেলায় আসা লোকজনের জন্য অন্তরায় হবে। এছাড়াও ঢাকা বাইপাস সড়ক ৪ লেনে উন্নীতকরণও চলছে। ফলে যাতায়াতে ভোগান্তি থেকে যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।