পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আসন্ন দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ঢাকা ও খুলনা বিভাগসহ অনেক জেলায় সহিংসতার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন মাঠ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা। এ সময় তারা হিংসাত্মক কর্মকান্ড এড়াতে নির্বাচনের আগে বৈধ অস্ত্র জমা দেওয়া এবং আচরণবিধি লঙ্ঘনে প্রার্থিতা বাতিলের মতো কঠোর শাস্তির প্রস্তাব দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন ভবনে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে ইউপি নির্বাচন নিয়ে আইনশৃঙ্খলা পর্যালোচনা সভায় অংশ নিয়ে তারা এসব তথ্য প্রকাশ করেন। সাম্প্রতিক কয়েকটি সহিংস ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তারা নির্বাচনে শঙ্কার কথা জানান।
ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথের পরিচালনায় সভায় সংযুক্ত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার বিভাগীয় কমিশনার, উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক, পুলিশ কমিশনার ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারা।
নির্বাচন কমিশন সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, প্রথমধাপের নির্বাচন ভালো হয়েছে। কিন্তু এরপর যেসব সহিংস ঘটনা ঘটেছে তার কারণে কমিশন উদ্বিগ্ন। অবশ্য আজ আপনাদের বক্তব্যে কমিশন আশ্বস্ত। আশা করি পরবর্তী ধাপগুলোর নির্বাচনও সুষ্ঠু ও সুন্দর হবে। সভায় চট্টগ্রাম অঞ্চলের কর্মকর্তারা পাহাড়ে ঝুঁকির কথা জানান। চট্টগ্রামের মতো রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে একই ধরনের পরিস্থিতি বিরাজ করার কথা তুলে ধরেন মাঠ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা। তবে ঢাকা, খুলনা এবং সিলেট বিভাগ থেকে নির্বাচনে সহিংসতার শঙ্কার কথা তুলে ধরা হয়। এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তারা প্রস্তুতির কথা জানান। এজন্য নির্বাচনে অধিকসংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সদস্য বাড়ানোর প্রস্তাব করেন তারা।
খুলনার বিভাগীয় কমিশনার তার বক্তব্যে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নড়াইল, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ এবং মাগুরায় সহিংসতার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। তিনি মাগুরার ঘটনা তুলে ধরে বলেন, ওই ঘটনার পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার ওই এলাকায় যাওয়ার পর পরিস্থিতি কিছুটা ভালো। তবে কিছু সমস্যা ও শঙ্কা রয়েছে। আমরা ভালো নির্বাচন অনুষ্ঠানে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা সচেতন ও সজাগ আছি। আশা করি ভালো নির্বাচন হবে। তিনি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সংকটের কথাও এ সময় তুলে ধরেন। বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার আচরণ বিধি লঙ্ঘনে প্রার্থিতা বাতিলের মতো কঠোর শাস্তির কথা বলেন। তিনি বলেন, একজন সরকারি কর্মকর্তা নয়, দেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমার প্রস্তাব থাকবে আচারণবিধি লঙ্ঘনের জন্য কঠোর পদক্ষেপ যেন নেওয়া হয়। দু-চারটি প্রার্থিতা বাতিল হলে সেটা অন্যদের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
খুলনা রেঞ্জের পুলিশের ডিআইজি বলেন, আমাদের জন্য মাগুরা, শৈলকূপা চ্যালেঞ্জিং। তবে আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমাদের সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। আশা করি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকবে।
ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি তার বিভাগের অর্ধেকের মতো ইউনিয়ন পরিষদ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। সবাই তার এলাকার ভালো পরিবেশের কথা তুলে ধরেছেন। তবে আমাদের পরিস্থিতি একটু ভিন্ন। ঢাকা বিভাগের যেসব ইউনিয়নের নির্বাচন হবে তার অর্ধেকের মতো (৯০টি) উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজমান। এসব জায়গায় সহিংসতার আশঙ্কা আছে। বিশেষ করে ফরিদপুর, মাদারীপুর ও শরীয়তপুরের নির্বাচন নিয়ে আমাদের আশঙ্কা আছে। এ সময় তিনি নির্বাচনের আগে বৈধ অস্ত্র জমা নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। নির্বাচনের আগে বৈধ অস্ত্র থানায় জমা দেওয়ার আদেশ জারি হয়। এবার এ ধরনের কোনো নির্দেশনা আমরা পাইনি। যতদূর শুনেছি এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে নির্বাচনের আগে বৈধ অস্ত্র থানায় জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হলে ভালো হয়। ঢাকা রেঞ্জের কমিশনার নির্বাচনী আচারণবিধির যথাযথ প্রয়োগের প্রস্তাব করে বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘন হলে যদি কঠোর শাস্তি দেওয়া হয় এবং ত্বরিত ব্যবস্থা নেওয়া হয় তাহলে আমাদের জন্য ভালো হয়। সহিংস পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব হয়। ঢাকার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারও ঢাকা বিভাগে নির্বাচনে চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন।
সিলেট রেঞ্জের পুলিশের ডিআইজি তার বিভাগের অন্য জায়গার পরিস্থিতি ভালো থাকলেও সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজার ও ছাতকের পরিস্থিতি চ্যালিঞ্জিং বলে উল্লেখ করেন। দুর্গম ওই উপজেলা দুটির বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে একই দিনে ভোট হওয়ায় পরিস্থিতি কিছুটা কঠিন হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তারা নিয়মিত ওয়ারেন্ট তালিম, ওয়ায়েন্টভুক্ত আসামিদের গ্রেফতারসহ সার্বিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান। নির্বাচনী কর্মকর্তাদের হুঁশিয়ার উচ্চারণ করে কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, সবাইকে বলবো নির্বাচনী দায়িত্ব যেন আইনানুগ হয়। আইনের শৈথিল্য প্রমাণ হলে আমরা ব্যবস্থা নিতে পিছপা হবো না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।