নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এইতো সপ্তাহ দুয়েক আগের কথা। দুই গোল হজম করেও দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তণের গল্প লিখেছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অবশ্য তেমন কিছু হয়নি। তবে প্রত্যাবর্তণের গল্পটা ঠিক একই। নায়কও সেই চিরায়িত। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। দুবার পিছিয়ে পড়ে যখন ইংলিশ জায়ান্টরা ধুঁকছিল, ঠিক তখনই দলের ত্রাতা এই পর্তুগিজ তারকা। দু’বার জাল কাঁপিয়ে ইউনাইটেডকে অন্তত একটি পয়েন্ট উপহার দিয়েছেন এই ফরোয়ার্ড। ইউরোপ সেরা প্রতিযোগিতাটিতে এ রেকর্ড স্কোরারের গোল সংখ্যা বেড়ে হলো ১৩৯টি।
গতপরশু রাতে ইতালিয়ান ক্লাবটির মাঠে ‘এফ’ গ্রুপের ২-২ ব্যবধানে ড্রয়ের ম্যাচটিতে আতালান্তার হয়ে গোল দুটি করেছিলেন ইয়োসিপ ইলিচিচ ও দুভান জাপাতা। এরআগে গত ২০ অক্টোবর দলটির বিপক্ষে দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার পর রোনালদোর ৮১তম মিনিটের গোলে ৩-২ ব্যবধানে রোমাঞ্চকর জয় পায় ইউনাইটেড। ফিরতি দেখায় প্রতিশোধের সকল সম্ভাবনা জাগিয়েও পারল না আতালান্তা। পয়েন্ট হারালেও গ্রুপের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে ইউনাইটেড। চার ম্যাচে দুই জয় ও এক ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট তাদের। দিনের আরেক ম্যাচে ইয়াং বয়েজকে ২-০ গোলে হারানো ভিয়ারিয়ালেরও পয়েন্ট সমান ৭। তিন নম্বরে আতালান্তার পয়েন্ট ৫। ৩ পয়েন্ট নিয়ে সবার নিচে ইয়াং বয়েজ।
লিগের আরেক ম্যাচে বেনফিকাকে উড়িয়ে দিয়েছে জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজের শততম ম্যাচটাকে দারুণভাগে রাঙালেন রবের্ত লেভানদোভস্কি। নিজে করলেন হ্যাটট্রিক, সতীর্থের গোলে রাখলেন অবদান। বেনফিকাকে উড়িয়ে নকআউট পর্বে পা রাখল বায়ার্ন মিউনিখ। একই রাতে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচটাকে ‘লেভাদোভস্কিময়’ বলে দেওয়া যায়। হ্যাটট্রিক করার মাঝে একটি পেনাল্টি আবার মিসও করেছেন তিনি। তবে তাতে দলের জয় নিয়ে ভাবতে হয়নি মোটেও। ‘ই’ গ্রুপের ম্যাচটি ৫-২ গোলে জিতেছে ২০২০ আসরের চ্যাম্পিয়নরা। ইউরোপ সেরার মঞ্চে পোলিশ তারকার গোল হলো ৮১টি, চারটি হ্যাটট্রিকসহ। চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে বায়ার্নের হয়ে ১৮ ম্যাচে ২২ গোল করলেন তিনি। এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে করলেন সর্বোচ্চ আটটি। চার ম্যাচে চার জয়ে তাদের পয়েন্ট ১২।
দিনের আরেক ম্যাচে দিনামো কিয়েভকে ১-০ গোলে হারানো বার্সেলোনা ৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে। অথচ প্রথমার্ধে নিজের ছায়া হয়েই ছিলেন আনসু ফাতি। কিন্তু বিরতির পর বিরতির পর উপহার দিলেন চমৎকার গোল। এই গোলের পর উদযাপনের ভঙ্গিতে দেয়া গেছে সার্জিও অ্যাগুয়েরোর ছায়া। ম্যাচশেষে তিনিও জানিয়েছেন দলের সেরা তারকাকেই উৎসর্গ করেই এই উদযাপন ছিলো। দিনামো কিয়েভকে আবারও হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা দ্বিতীয় জয় পেল বার্সেলোনা। প্রতিপক্ষের মাঠের এই জয়টি বার্সেলোনার বাজে সময়ের মধ্য দিয়ে যাওয়া সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তিন ম্যাচ পর জয়। আগামী ২৩ নভেম্বর বেনফিকাকে হারাতে পারলে নকআউট পর্বের টিকেট নিশ্চিত হয়ে যাবে বার্সেলোনার।
আরেক ম্যাচে ঘরের মাঠে জেনিত সেন্ট পিটার্সবুর্গকে ৪-২ গোলে হারিয়ে ‘এইচ’ গ্রুপ থেকে প্রথম দল হিসেবে নকআউট পর্বে জায়গা করে নিয়েছে জুভেন্টাস। দুটি গোল করার পাশাপাশি সতীর্থের একটি গোলে অবদান রেখে তাদের জয়ের নায়ক আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড পাওলো দিবালা। অন্য দুটি গোল করেন ফেদেরিকো চিয়েসা ও আলভারো মোরাতা। ৪ ম্যাচে শতভাগ সাফল্যে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে ইতালিয়ান দলটি।
আরেক ম্যাচে মালমোকে ১-০ গোলে হারানো শিরোপাধারী চেলসি ৯ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে। জেনিতের পয়েন্ট ৩, মালমোর শূন্য।
এক নজরে ফল
মালমো ০-১ চেলসি
উল্ফসবার্গ ২-১ সলজবার্গ
ভিয়ারিয়েল ২-০ ইয়ং বয়েজ
জুভেন্টাস ৪-২ জেনিথ
বায়ার্ন ৫-২ বেনফিকা
সেভিয়া ১-২ লিলে
ডায়ানমো কিয়েভ ০-১ বার্সেলোনা
আতালান্তা ২-২ ম্যানইউ
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।