পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
আবুধাবির আল-ধাফরা ঘাঁটিতে যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নিয়েছে সউদী আরবের বিমান বাহিনী। মঙ্গলবার সউদীর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আরব নিউজের। সামরিক এই মহড়ায় অন্যান্য কয়েকটি দেশের সঙ্গে সউদীর বিমান বাহিনীও অংশ নেয়। মহড়াটি ওই অঞ্চলের বৃহত্তম এবং দীর্ঘমেয়াদী কৌশলগুলোর মধ্যে একটি। এর মাধ্যমে পারস্পরিক সহযোগিতার পরিবেশ, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে অভিজ্ঞতা বাড়বে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এই সামরিক মহড়ার লক্ষ্য হলো অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে সমন্বয় বাড়ানো। বিশেষ করে বিমান অভিযানে সঠিক পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়ন। অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর স্বার্থ রক্ষা, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই, শত্রুদের মোকাবিলা করে উপসাগরীয় অঞ্চল ও মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও এই সামরিক মহড়ার অন্যতম উদ্দেশ্য। মহড়ায় সউদীর বিমান বাহিনীর পাইলটরা তাদের যুদ্ধ, দক্ষতা ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা প্রদর্শন করেছেন। তারা প্রমাণ করেছেন আকাশ প্রতিরক্ষায় সউদী আরব অদক্ষ নয়। কয়েক দিন আগে লোহিত সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ১০ দিনের মহড়ায় অংশ নিয়ে তা সফলভাবে শেষ করেছে সউদীর নৌবাহিনী। খবর আরব নিউজ। সউদী আরবের চলচ্চিত্র শিল্পের কিভাবে বিকাশ করা যায় সে বিষয়ে আলোচনার জন্য একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে সউদী প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে। এ ব্যাপারে আলোচনার জন্য অডিওভিজ্যুয়াল মিডিয়ার জেনারেল কমিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এসরা অ্যাসেরি ওয়ার্নার ব্রাদার্স পিকচার্সের ইএমইএ আঞ্চলিক ডিস্ট্রিবিউশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট টবি টেন্যান্ট এবং মাজিদ আল ফুত্তাইমের অবসর, বিনোদন, সিনেমা এবং জীবনধারার আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আল-হাশেমির সঙ্গে দেখা করেছেন। সউদীর চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশ, চলচ্চিত্র বণ্টন, এবং চলচ্চিত্র নির্মাণে পরিবেশকদের উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণের আলোকে জাতীয় দক্ষতার বিকাশে সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন তারা। ওই বৈঠকে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা বলেছে, সউদীর চলচ্চিত্র শিল্প গুণগত অগ্রগতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে যা স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করেছে। বিশেষ করে কমিশন লাইসেন্সিং ও রেটিং সহজ এবং দ্রুততর করার বিষয়টিকে উল্লেখ করেন তারা। সউদী আরবে চলচ্চিত্র শিল্পের ওপর নিষেধাজ্ঞা উঠেয়ে দেওয়া হয় ২০১৮ সালে। গত তিন বছরে দেশটিতে এক হাজারের বেশি চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়েছে। দেশটিতে ৪৫টি সিনেমা হল রয়েছে যেখানে মোট ৪১৮টি পর্দা ও ৪১ হাজার ৯৩৪টি আসন রয়েছে। ভিশন ২০৩০-এর আওতায় সউদীতে নানা ধরনের সংস্কার শুরু করেছেন ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। ইতোমধ্যেই দেশটি থেকে নানা ধরনের বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেওয়া, বিমান চালনাসহ বেশ কিছু বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। আরব নিউজ, সউদী প্রেস এজেন্সি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।