বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রংপুরের হারাগাছে পুলিশে হাতে গ্রেফতার গ্রেফতার হওয়া তাজুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে থানায় হামলা, ভাংচুর ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা করেছে হারাগাছ মেট্রোপলিটন থানা পুলিশ। হারাগাছ থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল খালেক বাদী হয়ে এই মামলা করেন। এতে আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাত ৩’শ জনকে। অপরদিকে মাদক রাখার অভিযোগে একই থানার উপ-পরিদর্শক রিযাজুল ইসলাম বাদী হয়ে আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন। এতে আসামি করা হয়েছে নিহত তাজুল ইসলামকে। গ্রেফতার এড়াতে এলাকা পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে।
সোমবার রাতে এ ঘটনার পর মঙ্গল সকালে মামলা দায়ের করা হয়। ঐদিন দুপুর থেকেই পুলিশ হারাগাছের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান ও তল্লাশি চালাতে শুরু করে। পুলিশের গ্রেফতার এড়াতে অনেকেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।
আজ বুধবার হারাগাছের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, চারিদিকে শুনশান নীরবতা। পুরুষ লোক নেই বললেই চলে। বয়স্ক লোক ছাড়া যুবক বা কিশোর কাউকেই তেমন একটা চোখে পড়ছে না। বিশেষ করে হারাগাছ থানা এলাকার আশপাশের পাড়া-মহল্লা প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়েছে। সবখানেই থমথমে ও ভীতিকর অবস্থা বিরাজ করছে। পুলিশের ভয়ে পুরুষ লোক বাড়িতে আসা-যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। মামলায় নাম আছে কি-না এ নিয়েও অনেকেই ভয়ে আছেন। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে-ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততা নেই বা ছিল না এমন কাউকেই গ্রেফতার করা হবে না।
এদিকে, সোমবার রাতের ঘটনায় কী পরিমাণ সরকারি যানবাহন ও থানা পুলিশের কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনও নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে নিহত তাজুলের লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। পরে তার লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য সোমবার সন্ধ্যায় মাদকবিরোধী অভিযানের সময় মেট্রোপলিটন হারাগাছ থানা পুলিশ পৌর এলাকার দরদী স্কুলসংলগ্ন তেপতি এলাকায় মাদকসহ তাজুল ইসলাম নামে একজনকে আটক করে। আটক অবস্থায় সেখানেই তার মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা এ ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে থানা ঘেরাও করে থানায় হামলা চালিয়ে পুলিশের গাড়িসহ বেশ কিছু আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এ নিয়ে উত্তেজিত জনতার সাথে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যা ৭টা থেকে শুরু হয়ে রাত ১১টা পর্যন্ত চলে ধাওয়া-পাল্টা। এতে পুলিশ ও সাংবাদিকসহ প্রায় ৩৫ জন আহত হয়। পরে রংপুর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।