বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন স্থানে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে একাধিক যানবাহনের অবৈধ স্ট্যান্ড। সড়কের দুই পাশে, আনাচে-কানাচে অবৈধ স্ট্যান্ডের ছড়াছড়িতে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। বেড়েছে জনগণের ভোগান্তি।
এদিকে অবৈধ স্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিন মোটা অঙ্কের চাঁদা লেনদেন হয় বলে জানা গেছে। অবৈধ স্ট্যান্ডের বিষয়টি একাধিকবার প্রশাসনের সম্মুখে উপস্থাপন করা হলেও অদৃশ্য কারণে স্ট্যান্ডগুলোও এখনো বহাল রয়েছে। এমনকি অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করতে হাইকোর্ট এক রায় দিলেও হাইকোর্টের নির্দেশনা না মেনে এখনো বহাল রয়েছে অবৈধ স্ট্যান্ড। এসব স্ট্যান্ড এখন নগরবাসীর জন্য ‘বিষফোড়া’ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সূত্র মতে, নাসিক কর্তৃক নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলে ইজারা দেয়া স্ট্যান্ড রয়েছে ৪টি। কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, নিউ মেট্রো হল সম্মুখ সড়কে স্ট্যান্ড, মন্ডলপাড়া স্ট্যান্ড, ১নং রেলগেট বেবি স্ট্যান্ড। কদমরসূল অঞ্চলে ইজারা দেয়া স্ট্যান্ড ২টি হলো বন্দরঘাট স্ট্যান্ড ও নবীগঞ্জ ঘাট স্ট্যান্ড।
সিদ্ধিরগঞ্জ অঞ্চলে সিটি করপোরেশনের ইজারা দেওয়া কোন স্ট্যান্ড নেই। এসব স্ট্যান্ডের বাহিরে নগরে রয়েছে অসংখ্য স্ট্যান্ড। এদিকে এসব স্ট্যান্ড অবৈধভাবে বসার ফলে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের চাষাড়ায় চত্বর নিকটবর্তী এলাকায় অঘোষিতভাবে বানানো হয়েছে কমপক্ষে ৬টি অবৈধ স্ট্যান্ড।
সরকারি মহিলা কলেজের সামনে সিএনজি ও ইজিবাইক অবৈধ স্ট্যান্ড, রাইফেল ক্লাবের বিপরীতে রয়েছে অবৈধ লেগুনার স্ট্যান্ড, আজগর ফিলিং স্টেশনের পাশে রয়েছে একটি সিএনজি-টেম্পু স্ট্যান্ড, জিয়াহলের সামনে স্ট্যান্ড, খাজা সুপার মার্কেটের সামনে লেগুনা স্ট্যান্ড এবং মার্কেটের বিপরীত দিকে সিদ্ধিরগঞ্জগামী লেগুনা স্ট্যান্ড। এসব স্ট্যান্ডে পার্কিং করে রাখা হয়েছে সিএনজি, লেগুনাসহ একাধিক যানবাহন। ফলে নগরে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ক্ষণে ক্ষণে লেগে থাকে যানজট।
এছাড়াও জিমখানা, ২নং রেলগেটের রহমতউল্লাহ ইনস্টিটিউটের সামনে ও ফজর আলী ট্রেড সেন্টারের সামনে রয়েছে অবৈধ স্ট্যান্ড। নগর ভবনের নিকটবর্তী নিতাইগঞ্জে অবৈধ অটো স্ট্যান্ড রয়েছে। সেই সাথে রয়েছে ট্রাকস্ট্যান্ড। নিতাইগঞ্জ ট্রাক স্ট্যান্ডে ট্রাক থামিয়ে পণ্য উঠানো-নামানো হয়। একাধিবার এই ট্রাক স্ট্যান্ড উচ্ছেদ অভিযান চললেও কয়েক দিনের মধ্যে আবারও দখল করা হয়। মানা হচ্ছে না হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞাও।
২০১৬ সালের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ অবৈধ ট্রাকস্ট্যান্ড উচ্ছেদের আদেশ দেন। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকা থেকে সব ধরনের অবৈধ স্ট্যান্ড অপসারণে হাইকোর্টের নির্দেশনা চেয়ে ২০১৬ সালে রিট পিটিশনটি করেছিলেন মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী।
ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (প্রশাসন) কামরুল বেগ অবৈধ স্ট্যান্ড প্রসঙ্গে বলেন, আমরা প্রায়ই এসব অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করছি। কিন্তু উচ্ছেদ করা হলেও আবারো বসে পড়ে। তবে শিগগিরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া যানজট নিরসনেও কাজ অব্যহত রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে স্ট্যান্ড ইজারার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহিরুল আলম এ বিষয়ে বলেন, সাধারণত সড়কের নিকটবর্তী যেখানে পার্কিং করার মতো পর্যাপ্ত জায়গা থাকে সেখানেই স্ট্যান্ড করা হয়। আমাদের ইজারায় নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলে ও কদমরসূল অঞ্চলে ৬টি স্ট্যান্ড রয়েছে। কিন্তু এর বাইরে নগরের বিভিন্ন জায়গায় যত্রতত্র স্ট্যান্ড করা হয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জে নাসিকের ইজারায় কোন স্ট্যান্ড নেই। শহরে অবৈধ স্ট্যান্ডের কারণে অতিরিক্ত যানজটের সম্মুখীন হচ্ছে নগরবাসী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।