মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সোমবার তার কপ২৬ বক্তৃতায় সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, করোনা মহামারী এতটাই বেদনাদায়কভাবে স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, কোনও জাতি সীমান্তহীন হুমকি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে এমন কোন দেয়াল তৈরি করতে পারবে না। আমরা জানি যে, আমরা কেউই এখনও আসন্ন ভয়াবহ খারাপ অবস্থা থেকে বাঁচতে পারি না, যদি আমরা এই সময়কে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হই। বাইডেন বলেন, ক্রমবর্ধমান বিপর্যয়ের মধ্যে আমি বিশ্বাস করি যে, শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নয়, আমাদের সকলের জন্য একটি অবিশ্বাস্য সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, একটি ‘ন্যায্যপূর্ণ, পরিচ্ছন্ন শক্তির ভবিষ্যত’ গড়ে তোলার একটি সুযোগ রয়েছে, যা বিশ্বজুড়ে ‘প্রক্রিয়াগতভাবে লক্ষ লক্ষ ভাল বেতনের চাকরির সুযোগ’ তৈরি করতে পারে। বাইডেন যোগ করেছেন যে, এমন একটি পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যা নৈতিক এবং অর্থনৈতিক উভয়ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে বিশ্বজুড়ে জীবনযাত্রার মানকে উন্নীত করে। -সিএনবিসি এ খবর জানায়। অপরদিকে, প্যারিস আবহাওয়া চুক্তি ভেঙে বেরিয়ে আসার জন্য ক্ষমা চাইলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সোমবার গ্লাসগোয় আবহাওয়া সম্মেলনের মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, ‘আগের প্রশাসনের এই পদক্ষেপের জন্য আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট হিসাবে আমি খুবই লজ্জিত।’রোমে বিশ্বের প্রথম সারির ২০টি দেশের ‘জি-২০’ অধিবেশন ছিল সপ্তাহান্তে। আর তার পরেই সোমবার গ্লাসগোয় শুরু হল আবহাওয়া সম্মেলন। এতে যোগ দিয়েছেন ১২০টিরও বেশি দেশের রাষ্ট্রনেতা, শিক্ষাবিদ, পরিবেশ আন্দোলনকারীরা। সেই যুক্তিতে আবহাওয়া নিয়ে যাবতীয় কর্থাবার্তা ‘সিওপি২৬’-এর উপরেই ছেড়ে দিল জি-২০। ভাসা ভাসা কিছু আলোচনা হল বটে। তবে বিশ্বে বিপজ্জনক মাত্রায় কার্বন নির্গমনের ৮০ শতাংশ দায়ভার যাদের, আবহাওয়া সমস্যা সমাধানের সব দায়িত্ব তারা ভাগ করে নেওয়ার কথা জানাল ছোট-বড় সব দেশের সঙ্গে। এবারে জি-২০-র আয়োজনে ছিল ইটালি। উদ্যোক্তা ইটালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি বলেন, ‘একটা বিষয় আমাদের নিশ্চিত করতে হবে, যে স্বপ্ন আমরা দেখছি, সেটা পূরণের জন্য যেন কাজও হয়।’ ‘জি-২০’-তে রয়েছে ব্রাজিল, চীন, ভারত, জার্মানি, আমেরিকার মতো দেশ। বিশ্বের জনসংখ্যার ৬০ শতাংশের বাস এই বিশ দেশে। ‘বিষাক্ত’ গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমনের ৮০ শতাংশ এই দেশগুলির। জাতিসংঘের বক্তব্য, বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে, ভয়াবহ দাম দিতে হবে গোটা বিশ্বকে। ইতিমধ্যেই তা টের পাওয়া যাচ্ছে। এক দিকে খরা তো অন্য দিকে বন্যা। ইউরোপে দাবানল তো কানাডা পুড়ছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস গরমে। এ বছরের মতো বৃষ্টি, বন্যা, ধস দেখেনি ভারত। জাতিসংঘের সতর্কবার্তা, জলস্তর যে ভাবে বাড়ছে, সবার আগে নিচু দেশগুলো সমুদ্রে ডুবে যাবে। সিএনবিসি, রয়টার্স, এপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।