বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে পদ্মা-মেঘনাসহ সারা দেশে ৮ মাসের জন্য জাটকা রক্ষা অভিযান শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার (১ নভেম্বর) ভোর ছয়টা থেকে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ৮ মাসের জন্য এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
এ সময় ১০ ইঞ্চির ছোট সকল জাটকা ধরা, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন, বিনিময় ও মজুত আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ বলে বিবেচিত হবে। চাঁদপুরের মতলব উত্তরের ষাটনল থেকে হাইমচরের চরভৈরবী পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার পদ্মা-মেঘনায় জাটকা রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসন, কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ ও মৎস্য বিভাগের সমন্বয়ে চালানো হবে সমন্বিত অভিযান।
চাঁদপুর জেলা টাস্কফোর্সের উদ্যোগে সোমবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে জাটকা রক্ষা অভিযান কার্যক্রমের উদ্বোধন করে চাঁদপুর জেলা মৎস্য বিভাগ। বিকেল পর্যন্ত চাঁদপুর সদর উপজেলার পদ্মা-মেঘনার নদী তীরবর্তী বিভিন্ন জেলে এলাকায় মাইকিং করে প্রচার প্রচারণা ও জেলেদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সুদীপ ভট্টাচার্য, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রশিদসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
অভিযানের এই ৮ মাস জাটকা নিধন, পরিবহন, মজুদকরণ, বাজারজাতকরণ ও ক্রয়-বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ১ থেকে ২ বছর অথবা ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে।
দেশের মৎস্য আইন অনুযায়ী, এতদিন জাটকার আকার ছিল নয় ইঞ্চি। কিন্তু সম্প্রতি সে আকার এক ইঞ্চি বাড়ানো হয়েছে। এখন জাটকা বলতে বোঝানো হবে দশ ইঞ্চি মাপের বাচ্চা ইলিশ।
মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় উপপরিচালক আনিসুর রহমান তালুকদার বলেছেন, এই সময়ের মধ্যে দশ ইঞ্চির ছোট সকল ইলিশ ধরা, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন, বিনিময় ও মজুত আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এ সময় নদীতে ব্যবহারের জন্য জেলেদের জালের ব্যাস বা ফাঁসের গিঁঠের দূরত্ব সাড়ে পাঁচ সেন্টিমিটারের চাইতে কম হলে জেল-জরিমানার বিধান আছে আইনে। স্থানীয় প্রশাসন, কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ ও মৎস্য বিভাগ মিলে সমন্বিত অভিযান চালানো হবে। এ সময়ে নদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হবে।
উল্লেখ্য, গত ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন মা ইলিশ সংরক্ষণে ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল সরকার। তার আগে পয়লা মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুইমাস ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা ছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।