মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়ে আলোচনা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট াঁয তাইয়্যেব এরদোগান। বৈঠকে এ বিষয়ে বাইডেনের ‘আচরণ ইতিবাচক’ ছিল বলে জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট। রোববার ইতালির রোমে এক সংবাদ সম্মেলনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এ কথা জানান। খবর ডেইলি সাবাহর। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ক্রয় ও আধুনিকীকরণের বিষয়ে তুরস্কের প্রস্তাবে বাইডেনের ‘আচরণ ইতিবাচক’ ছিল। আমাদের কাছে থাকা এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের আধুনিকায়ন ও এই মডেলের নতুন যুদ্ধবিমান কেনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের আগে বাইডেন ও এরদোগান এক বৈঠকে মিলিত হন। তুরস্কের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, রাশিয়ার কাছ থেকে এস৪০০ কেনার কারণে এফ-৩৫ নিয়ে চুক্তি ভেস্তে যাওয়ার পর এফ-১৬ যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করছে তুরস্ক। এরদোগান জানিয়েছিলেন, আঙ্কারা এফ-৩৫ এর জন্য দেওয়া ১.৪ বিলিয়ন ডলার দিয়ে সস্তায় এফ-১৬ যুদ্ধবিমান কিনতে চায়। যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা বলেন, এফ-৩৫ এর ক্ষেত্রে যে সমস্যা হয়েছিল এফ-১৬ যুদ্ধবিমান কেনার ক্ষেত্রেও একই সমস্যা হতে পারে। তা ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতা সত্ত্বেও তুরস্ক দ্বিতীয় দফায় এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা কিনতে আগ্রহী। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বুধবার আঙ্কারায় এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান সংক্রান্ত বিদ্যমান সমস্যার সমাধানে বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকারের সঙ্গে কথা বলেন। রোববার বাইডেন-এরদোগানের ৭০ মিনিট বৈঠকের পর তুরস্কের প্রেসিডেন্টের যোগাযোগ পরিচালকের দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, ইতিবাচক আবহে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয়সহ আঞ্চলিক বিষয়াদি আলোচনা করা হয়েছে। বৈঠকে দুই নেতা যুক্তরাষ্ট্র-তুরস্ক সম্পর্ক শক্তিশালী এবং উন্নয়ন করতে একমত হন। এ লক্ষ্যে তারা পরবর্তীতে বিভিন্ন কর্মকৌশল গ্রহণের বিষয়েও সম্মত হন। এর আগে খবরে বলা হয়, অবশেষে যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের মধ্যে উত্তেজনার মধ্যেই দুই দেশের প্রেসিডেন্টের মধ্যে রোববার গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারা জানান, রোববার রোমে জি-২০ সম্মেলনের পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিব এরদোগানের মধ্যে অত্যন্ত গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। যদিও ওয়াশিংটন ও আঙ্কারার মধ্যে বেশ উত্তেজনা ও কৌশলগত উত্তেজনা বিরাজ করছে। বাইডেন প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, তুরস্কের সাথ গঠনমূলক সম্পর্ক গড়তে এবং মতানৈক্য দূর করার যথাযথ পন্থা খুঁজে পেতে, প্রেসিডেন্ট তার ইচ্ছার কথা স্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেছেন। কর্মকর্তা জানান, তাদের আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত ছিল আফগানিস্তান, সিরিয়া, লিবিয়া, দক্ষিণ ককাস, আবহাওয়া পরিবর্তন, মানবাধিকার প্রসঙ্গ এবং যুক্তরাষ্ট্রের এফ-১৬ জঙ্গি বিমান কেনার অনুরোধের মতো বিষয়। কর্মকর্তা জানান, জঙ্গি বিমান ক্রয়ের ব্যাপারে, বাইডেন অত্যন্ত পরিষ্কার যে বর্তমানে নেয়া একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিষয়টি ভেবে দেখা হচ্ছে। ২০১৯ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনে রাশিয়ার এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার জন্য পেন্টাগন তুরস্ককে এফ-৩৫ বিমান ক্রয় থেকে বাদ দিয়ে দেয়। আঙ্কারা এখন লকহিড মার্টিনের প্রস্তুতকৃত ৪০টি এফ-১৬ জঙ্গি বিমান এবং তাদের বর্তমান বিমান বাহিনীর জঙ্গি বিমানের জন্য ৮০টি আধুনিকায়ন কিট সরঞ্জাম কিনতে আগ্রহী। যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতারা বাইডেন প্রশাসনকে তুরস্কের কাছে এফ-১৬ বিমান বিক্রয় না করার অনুরোধ জানিয়েছেন। তাদের কথায়, আঙ্কারা শত্রুর মতো আচরণ করেছে। সেন্টার ফর স্ট্রাটেজিক এন্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজে ইউরোপ, রাশিয়া ও ইউরেশিয়া প্রোগ্রাম বিষয়ে উপ-পরিচালক, রেইচেল এলেহুস বলেন, একটি নেটো মিত্রের কাছ থেকে কোনো আচরণ কতটুকু গ্রহণযোগ্য বা গ্রহণযোগ্য নয়, তুরস্ককে সেই বার্তা দিতে এই বৈঠক বাইডেনের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। ডেইলি সাবাহ, ভয়েস অব আমেরিকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।