মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আবহাওয়া পরিবর্তন মোকাবেলায় নানামুখী উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। চেষ্টা চলছে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার থেকে বেরিয়ে আসার। আবহাওয়া সুরক্ষায় কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে গøাসগোয় আজ বৈঠকে বসছেন বিশ্বনেতারা। জাতিসংঘের এ শীর্ষ সম্মেলনের লক্ষ্য হলো, আবহাওয়া পরিবর্তনে ভ‚মিকা রাখা জ্বালানি তেল, গ্যাস ও কয়লার ব্যবহার বন্ধ করা। যদিও উন্নয়নশীল দেশগুলোর কার্যক্রম এ লক্ষ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলছেন বিশেষজ্ঞরা। যেমন এশিয়াজুড়ে এখনো নতুন করে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে এবং এ প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে। খবর রয়টার্স। ২০৫০ সাল নাগাদ কার্বন নিঃসরণ শ‚ন্যে নামাতে প্যারিস চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল বিশ্বনেতারা। যদিও এ লক্ষ্য থেকে বিশ্ব অনেক পিছিয়ে রয়েছে বলে সতর্ক করে আসছেন বিশেষজ্ঞরা। এরই পরিপেক্ষিতে যুক্তরাজ্যের গøাসগোয় আজ শুরু হচ্ছে কপ২৬ শীর্ষ সম্মেলন। মার্কিন অলাভজনক প্রতিষ্ঠান গেøাবাল এনার্জি মনিটরের (জিইএম) তথ্য অনুসারে, এশিয়ায় প্রায় ২০০টি কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ চলছে। এর মধ্যে চীনে ৯৫টি, ভারতে ২৮টি ও ইন্দোনেশিয়ায় ২৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। নতুন এ বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো আগামী কয়েক দশক ধরে কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ করবে। এজন্য নতুন এ বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো কপ২৬ সম্মেলনে বিশ্বনেতাদের সামনে অন্যতম একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আবহাওয়া পরিবর্তন মোকাবেলায় শিল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোকে বিভক্ত করা অনেকগুলো সমস্যার একটি কয়লার ব্যবহার। নিঃসরণ কমাতে অনেক উন্নত দেশ কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র একাই ২০০০ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত ৩০১টি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করেছে। তবে উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে এশিয়ায়। বিশ্বের জনসংখ্যার ৬০ শতাংশের বসবাস থাকা এ অঞ্চল বৈশ্বিক উৎপাদনের প্রায় অর্ধেক অবদান রাখে। তবে এখানে কয়লার ব্যবহার সংকুচিত হওয়ার পরিবর্তে বরং বাড়ছে। কারণ উন্নয়নশীল এ দেশগুলো দ্রæত বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে চায়। জিইএমের তথ্য অনুসারে, বিশ্বজুড়ে বর্তমানে যে ১৯৫টি কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি হচ্ছে, তার ৯০ শতাংশেরও বেশি এশিয়ায়। ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শিল্পোন্নত রাজ্য তামিলনাড়ু দেশটির শীর্ষ নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনকারীদের মধ্যে একটি। তবে রাজ্যটিতে দেশটির সবচেয়ে বেশি কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে নাটকীয় স¤প্রসারণ সত্তে¡ও বৈশ্বিক অর্থনীতি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতের ওপর এখনো অনেকাংশেই নির্ভরশীল। এশিয়ায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতের অনুপাত বৈশ্বিক গড়ের দ্বিগুণ। বিশেষ করে ভারতের মতো ক্রমবর্ধমান অর্থনীতিতে এ অনুপাত অনেক বেশি। বিপি স্ট্যাটিস্টিক্যাল রিভিউ অব ওয়ার্ল্ড এনার্জি অনুসারে, ২০২০ সালে বিশ্বের ৩৫ শতাংশেরও বেশি বিদ্যুৎ কয়লা থেকে এসেছে। এর মধ্যে প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে ২৫ শতাংশ, হাইড্রো ড্যাম থেকে ১৬ শতাংশ, পারমাণবিক থেকে ১০ শতাংশ এবং সৌর ও বায়ুর মতো নবায়নযোগ্য উৎস থেকে এসেছে ১২ শতাংশ। চলতি বছর কয়লার ব্যবহার নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে কয়লার দাম সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছে। নির্মাণাধীন কিছু নতুন কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র পুরনো এবং আরো দূষণকারী স্টেশনগুলোকে প্রতিস্থাপন করবে। পাশাপাশি এগুলো মোট নিঃসরণও বাড়িয়ে তুলবে। জিইএমের মতে, শুধু নতুন কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ৩০ বছরের আয়ুষ্কালে ২ হাজার ৮০০ টন কার্বন নিঃসরণ করবে। জিইএমের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ভারতজুড়ে ২৮১টি কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু রয়েছে। পাশাপাশি ২৮টি নির্মাণাধীন রয়েছে এবং আরো ২৩টি প্রাক-নির্মাণ পর্যায়ে রয়েছে। এদিকে শীর্ষস্থানীয় কয়লার ভোক্তা ও নির্গমনকারী চীনে এক হাজারেরও বেশি কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। পাশাপাশি দেশটিতে ২৪০টি প্লান্ট নির্মাণাধীন কিংবা পরিকল্পনার আওতায় আছে। এমনকি নিঃসরণ কমাতে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ অর্থনীতিও কয়লার ব্যবহার বাড়াচ্ছে। ফুকুশিমা বিপর্যয়ের পর পারমাণবিক বিদ্যুৎ শিল্প সংকটে পড়ে যাওয়ায় সেই শ‚ন্যস্থান পূরণে কয়লার দিকে ঝুঁকছে জাপান। দেশটি সাতটি বড় কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।