বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
‘এখানে এসে বসে আছি প্রায় দুই দিন হলো। এখনও দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে যেতে পারলাম না। কবে, কখন পার হব, কিছুই বুঝতে পারছি না।’ কথাগুলো ক্ষোভের সঙ্গে বলছিলেন ট্রাক ড্রাইভার নাসির শাহ।
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটে আমানত শাহ ফেরিডুবির পর দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাংশের প্রবেশদ্বার খ্যাত নৌপথটির দৌলতদিয়া প্রান্তে গত বুধবার থেকে তীব্র যানজট।
শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় গাড়ির সব চাপ পড়েছে দৌলতদিয়া ঘাটে। যানবাহনের কয়েক কিলোমিটার সারি তৈরি হয়েছে ঘাট এলাকায়। চালক ও যাত্রীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ট্রাকচালকরা। যাত্রীবাহী গাড়িগুলো আগে পার করে দেয়া হলেও ট্রাকগুলো আটকে থাকছে দিনের পর দিন।
মহাসড়কে যানের চাপ কমাতে এর মধ্যে অপচনশীল পণ্যের ট্রাকগুলোকে রাখা হয়েছে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে। এই স্থানে নেই কোনো গণশৌচাগার ও রেস্তোরাঁ।
ফাঁকা রাস্তায় গাড়ি রেখেও কোথাও যেতে পারছেন না চালক ও সহকারীরা। এতে তাদের ভোগান্তির যেন শেষ নেই।
এমন পরিস্থিতিতে ঝুঁকি নিয়ে ট্রাকের মধ্যেই রান্না করছেন অনেকে। এতে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
যশোর থেকে বৃহস্পতিবার রাত ২টায় এই ঘাটে আসা ট্রাকচালক শরাফত জানান, ‘আমরা কি মানুষ? আমাদের সংসার, বউ-পোলাপান নেই? দিনের পর দিন ট্রাকেই থাকতে হয়। দুই দিন ধরে এখানে ট্রাক নিয়ে আটকে আছি। কবে, কখন পার হব, কিছুই বুজছি না।’
বেনাপোল থেকে আসা ট্রাকচালক করিম জানান, ‘দিনের পর দিন আমাদের রাস্তায় থাকতে হয়। ট্রাকই এখন আমাদের সংসার। ট্রাকেই রান্না, ট্রাকেই ঘুমাতে হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।