বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সুনামগঞ্জের ছাতকে মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীর কোলে জন্ম নিয়েছে ফুটফুটে এক পুত্র সন্তান। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ ট্রাফিক পয়েন্টে ওই নারী সন্তান জন্ম দেন। নবজাতক শিশুটিকে দেখতে তাৎক্ষনিক ভিড় জমান স্থানীয় জনতা।
স্থানীয় একাধিক লোকজনের সাথে আলাপ করে জানা যায়, প্রায় দুই মাস ধরে গোবিন্দগঞ্জ ট্রাফিক পয়েন্ট এলাকায় ওই অন্তঃসত্ত্বা মানসিক ভারসাম্যহীন (পাগলী) নারীকে তারা দেখে আসছিলেন। কয়দিন ধরে পয়েন্ট এলাকার সড়কের আইল্যান্ডে দিন-রাত বসে থাকতো। কেউ খাবার দিলে গ্রহণ করাতো দূরের কথা কারো সাথে কোন কথাই বলতো না। শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) বিকেল থেকে সে অবস্থান করেছিল কলেজ সংলগ্ন যাত্রী ছাউনী ঘরে। এক পর্যায় সন্ধ্যার দিকে প্রসব ব্যথা শুরু হয় কিন্তু কেউ বিষয়টি আঁচ করতে পারেনি। অবশেষে বিষয়টি চোখে পড়ে সিলেটের জালালাবাদ থানার রাজারগাঁও গ্রামের গৃহবধূ লায়লা বেগম নামের এক পথচারীর। তিনি তার স্বামী ইমতিয়াজের সাহায্যে ওই নারীকে পয়েন্ট সংলগ্ন পরিত্যক্ত রেল কোয়ার্টারের পাশে নিয়ে আসেন। এসময় রেল গেইটের দায়িত্ব থাকা গেইটম্যান রুবেল মিয়ার মাধ্যমে স্থানীয় তকিপুর গ্রামের আকদ্দুস আলীর বোন সাফিয়া বেগম ও তার জনৈক চাচির সহযোগিতায় জন্ম নেয় এক ফুটফুটে পুত্র সন্তান।
এদিকে, পাগলির ঘরে সন্তান জন্ম নিয়েছে এমন সংবাদে তাৎক্ষণিক উৎসুক জনতা ভিড় জমায়। নবজাতককে নিতে অনেকেই কাড়াকাড়ি শুরু করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমান। তিনি এসে মানসিক ভারসাম্যহীন নারীসহ তার সন্তানকে স্থানীয় দিঘলী রামপুর গ্রামের মৃত আবদুস সত্তারের পুত্র সউদী আরব প্রবাসী শাহিন মিয়ার জিম্মায় দেন। মা ও সন্তান দু'জনই সুস্থ্য আছেন। জন্ম নেয়া নবজাতকের মা হলেন মানসিক ভারসাম্যহীন (পাগলী) নারী কিন্তু বাবা হবেন কে এমন প্রশ্ন সচেতন মানুষের।
প্রত্যক্ষদর্শী মাইক্রোবাস শ্রমিক নেতা রজব আলী মোল্লা জানান, মা ও নবজাতককে নিতে আগ্রহী হওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমানের মাধ্যমে দিঘলী রামপুর গ্রামের প্রবাসী শাহিন মিয়া তার বাড়িতে নিয়ে গেছেন।
ইউপি চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতেই রজব আলী মোল্লার মাধ্যমে এক প্রবাসীর জিম্মায় মা ও নবজাতককে দেয়া হয়েছে। জিম্মাদারদের নাম ঠিকানাও সংগ্রহে আছে। বিষয়টি নিয়ে তিনি উপজেলা সমাজসেবা অফিসারের সাথে আলাপ করেছেন। তিনি পরবর্তী যাবতীয় ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।