মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ঘরে বসে ইউটিউব দেখে সন্তানের জন্ম দিলেন ভারতের কেরালার ১৭ বছরের কিশোরী। যদিও সন্তান জন্মদানের বিষয়টি ঘুণাক্ষরেও টের পাননি ওই কিশোরীর বাড়ির লোকজন। কিন্তু মেয়ের ঘর থেকে বাচ্চার কান্না শুনে ধাক্কা দিয়ে দরজা খোলার পর দেখা গেল, কিশোরী মেয়ের কোলে শুয়ে কাঁদছে সদ্যভূমিষ্ঠ শিশু। তড়িঘড়ি মা ও সন্তানকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে কেরালার মলপ্পুরমে। এ ঘটনায় পুলিশ কিশোরীর গর্ভে সন্তানের জন্মদাতা যুবককে গ্রেফতার করেছে।
জানা যায়, কেরালার মলপ্পুরমে বাবা-মায়ের সাথে থাকেন ১৭ বছরের ওই কিশোরী। তারা জানান, গত সপ্তাহে নিজের ঘর থেকে একবারও বের হননি ওই তরুণী। জিজ্ঞেস করলে উত্তর আসে, স্কুলের অনলাইন ক্লাস চলছে, কেউ যেন বিরক্ত না করে। তার উত্তরে নিরাপত্তারক্ষী বাবা ও দৃষ্টিহীন মায়ের সন্দেহ হয়নি মোটেও। অন্যদিকে নিজেকে ঘরবন্দি করে প্রসব বেদনায় অস্থির ১৭ বছরের কিশোরী দেখতে থাকেন কিভাবে নিজে নিজেই সন্তানের জন্ম দেয়া যায়। সন্তান জন্মদানের সময় তিনি ভিডিও স্ট্রিমিং ইউটিউবকেই বেছে নেন। শেষ পর্যন্ত ২৪ অক্টোবর, ইউটিউবের ভিডিও দেখে শেখা পদ্ধতি অবলম্বন করেই সন্তানের জন্ম দেন তিনি। সন্তানের জন্মের তিন দিন পর্যন্ত কিছুই জানতেন না পরিবারের কেউ। কিন্তু চতুর্থ দিন শিশুটি কেঁদে উঠায় হয়নি শেষ রক্ষা। মায়ের সন্দেহ হয়, শিশুর কান্নার শব্দ আসছে কোথা থেকে? দরজা ধাক্কা দিতেই স্পষ্ট হয় সব কিছু। শিশু কোলে বসেছিলেন কিশোরী মা!
এ দিকে দ্রুত মা ও শিশুকে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে মা ও শিশু, দু’জনেই সুস্থ আছে বলে জানা গেছে। হাসপাতাল থেকেই খবর যায় পুলিশে। তদন্ত শেষে পুলিশ ২১ বছরের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। ওই যুবক কিশোরীর প্রতিবেশী। দু’জনের মধ্যে অনেকদিন ধরেই প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। কিন্তু ঘটনার কথা পরিবারের কাছে চেপে গিয়েছিল দু’জনই।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর কিভাবে নাড়ি কেটে শিশুকে মায়ের শরীরের থেকে আলাদা করতে হয়, কিশোরীকে তা ইউটিউব দেখে শেখার পরামর্শ দিয়েছিল যুবক। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।