পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে মৃত্যুর পর কবরে গিয়েও নিস্তার নেই। রাজধানীর বায়তুল মোকাররম থেকে গত ১৫ অক্টোবর বিক্ষোভ মিছিলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় পল্টন মডেল থানায় মামলা দায়ের করে পুলিশ। সেই মামলার আসামির তালিকার দ্বিতীয় নম্বরের নাম হচ্ছে হযরত হাফেজ্জী হুজুরের (রহ.) পৌত্র ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন (একাংশ) এর সাবেক মহাসচিব মাওলানা মুহিবুল্লাহ।
এক বছর আগে মৃত স্বামীর নাম আসামির তালিকায় দেখে স্ত্রী নুসরাত জাহানসহ আত্মীয়-স্বজনরা হতবাক। গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর মাওলানা মুহিবুল্লাহ ইন্তেকাল করেন। মৃত ব্যক্তির নামে দাঙ্গা-হাঙ্গামার মামলার আসামি করার ঘটনা হাস্যকর বলেও উল্লেখ করেছেন তার ছোট ভাই এনায়েত উল্লাহ।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে যদি মৃত্যুর এক বছরের অধিক সময়ের পর মামলার আসামি হতে হয় এটা দুঃখজনক ঘটনা। বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন (একাংশ) এর ঢাকা মহানগরীর আমীর মাওলানা মোহাম্মদ হোসাইন আকন্দ গতকাল ইনকিলাবকে বলেন, কুমিল্লায় পবিত্র কোরআনের অবমাননার প্রতিবাদে গত ১৫ অক্টোবর বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ থেকে বিক্ষুদ্ধ মুসল্লিরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কাকরাইল মোড়ের দিকে যায়। সেখানে পুলিশী বাধার সময়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে যা’ পর দিন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
মাওলানা আকন্দ বলেন, প্রশাসনকে দলীয়করণ করায় এক বছর আগে কবরের বাসিন্দা হয়েও মামলার আসামি হতে হচ্ছে। আল্লাহ যদি কবরবাসীকে কথা বলার সুযোগ দিতেন তাহলে মুহিবুল্লাহ বলতেন ‘আমি কবরে থেকেও কেন আসামি হলাম’। এ ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা বিরল। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে পুলিশ তদন্ত ছাড়াই মৃত ব্যক্তির নামে মামলা দিয়ে সরকারকেই বেকায়দায় ফেলছে। যারা প্রকৃত দোষী তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া এবং দলীয় নেতাদের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।