পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানদের কর্মস্থলে উপস্থিত নিশ্চিত করতে হবে। যথাডথ কর্র্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানরা যেন কর্মস্থল ত্যাগ করতে না পারে সে বিষয়ে মনিটরিং জোরদার করতে সিদ্ধান্ত জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। অনিয়মিত কর্মস্থলে উপস্থিত থাকতে দেশের ৪৯২ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে কঠোর বার্তা পাঠাচ্ছে সরকার। স্থানীয় পর্যায়ে হঠাৎ করে উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে তারা যেন ঠিকমতো কর্মস্থলে উপস্থিত থাকেন তা নিশ্চিত করতেই এ সিদ্ধান্ত। সম্প্রতি সারাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির-মন্ডপে হামলার পর সরকারের উচ্চপর্যায় থেকেএ সিদ্ধান্ত হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে গত ২১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসনে বিভাগীয় কমিশনারদের সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, উপজেলা চেয়ারম্যানরা তার এলাকায় সবচেয়ে প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধি। তিনি যেন নিয়মিত কর্মস্থলে থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনূকুলে রাখতে পারেন তার জন্য তাদেরকে বিশেষ নির্দেশনা দেবে স্থানীয় সরকার বিভাগ। সম্প্রতি দেশের নানা স্থানে হামলার ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যানদের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। এজন্য তারা যেন আরও সতর্ক ও সক্রিয় থাকে সে বিষয়ে তাদেরকে বিশেষভাবে বলা হবে।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে দিক নিদেশনা দেওয়া আছে। উপজেলা চেয়ারম্যানরা যেন অনুমতি ছাড়া কর্মস্থাল ত্যাগ না করে। সেটা বাস্তবায়ন করতে ডিসিদের বলা হয়েছে। আশা করি তারা নির্দেশনা মেনে চলবেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ জেলা প্রশাসক ইনকিলাবকে বলেন, সাধারণ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানরা কর্মস্থলে না থাকলে তাকে ভাইস চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দিবেন সেটা ডিসিদের অবগত করবেন। আর যদি দেশের বাহিরে অবস্থান করেন তখন ডিসিদের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগের অনমুতি নিতে হবে। তার আগে কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন উপজেলা চেয়ারম্যান ইনকিলাবকে বলেন, আমরাতে সব সময় কর্মস্থলেই থাকি। আমরা সাধারণ মানুষের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। এলাকার জনগনের ভালোমন্দের বিষয়ে আমাদেরকেই সব করতে হয়। সরকারের কর্মকর্তারা যদি মনে করেন আমাদের মনিটরিং করা দরকার তাহলে সেটা তাদের বিষয়। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তাদের বিষয় গুলো মনিটরিং করা বেশি প্রয়োজন। কারণ এক মাস প্রশিক্ষণের কথা বলে তিনমাস থাকেন অনেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা। তাদের কারণে অনেক কাজ বন্ধ থাকে। সে গুলো এর আওতায় আনার প্রয়োজন রয়েছে।
সমন্বয় সভায় বিভাগীয় কমিশনাররা জানান, দেশের অনেক জেলায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানরা কর্মস্থলে নিয়মিত উপস্থিত থাকেন না। কিন্তু উপজেলা পর্যায়ে অনেকক্ষেত্রে উদ্ভূত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য তাদের কর্মস্থলে অবস্থান জরুরি বিবেচিত হয়। কারণ স্থানীয় সমস্যাগুলো জনপ্রতিনিধিরা যত সহজে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন, স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষে ততোটা সহজ নয়। জনপ্রতিনিধিরা সতর্ক থাকলে স্থানীয় পর্যায়ে বহু অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়ানো সম্ভব। এজন্য উপজেলা চেয়ারম্যানদের কর্মস্থলে উপস্থিতি নিশ্চিত করা এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত কর্মস্থল ত্যাগ না করার বিষয়ে কঠোরভাবে মনিটরিং করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও স্থানীয় সরকার বিভাগকে অনুরোধ করা হয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, দেশের অনেক উপজেলা চেয়ারম্যান স্থানীয় সরকার বিভাগের অনুমতি ছাড়াই বিভিন্ন সময় বিদেশ সফর করেন। বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের নজরে এসেছে। তারা যেন বিদেশ সফর কিংবা দেশের ভেতরে থাকলেও কর্মস্থলে অনুপস্থিতির বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে জানায় তা নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নিচ্ছে মন্ত্রণালয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বিভাগীয় কমিশনার ইনকিলাবকে বলেন, সম্প্রতি দেশব্যাপী হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও মন্ডপে হামলার ঘটনায় সরকার খুবই বিব্রত। হামলা ঠেকাতে কোনো কোনো ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনেরও দুর্বলতা রয়েছে বলে মনে করে সরকার। এছাড়া স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও হামলার দায় এড়াতে পারে না। তারা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়েছে। হামলার সময় অনেক উপজেলার চেয়ারম্যানরা তার এলাকায় ছিলেন না। এজন্য বিভাগীয় কমিশনাররা বিষয়টি সরকারের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিদের নজরে এনেছেন। সভা থেকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানদের কর্মস্থলে থাকার বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জেলা ও মাঠ প্রশাসন অনুবিভাগকে কঠোর মনিটরিং করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানদের কাছে চিঠিও পাঠানো হয়েছে। তা চলতি সপ্তাহের মধ্যেই এ চিঠি যাবে চেয়ারম্যানদের কাছে। তবে কি কি নিদেশনা থাকছে চিঠিতে সে বিষয়ে মন্ত্রিপষিদ বিভাগ ও স্থানীয় সরকার বিভাগের কর্মকর্তা এ বিষয়ে মুখ খোলেননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।