মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বোমা ফাটিয়েছে চেন্নাই থেকে প্রকাশিত ভারতের অগ্রণী ইংরেজি দৈনিক দ্য হিন্দু। তাদের প্রথম পাতায় প্রকাশিত একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, নার্কোটিক কন্ট্রোল ব্যুরোর কিছু অফিসার শাহরুখ খানের কাছে ২৫ কোটি টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন আরিয়ানকে প্রমোদতরীর মাদককাণ্ড থেকে মুক্ত করার জন্য। নার্কোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো বিষয়টিকে উর্বর মস্তিষ্কের কল্পনা বলে বর্ণনা করেছে। তারা জানিয়েছে যে, এ হাই-প্রোফাইল তারকা পুত্রের গ্রেফতারের পর থেকেই নানা কাহিনী ভাসিয়ে দেয়া হচ্ছে, এটি তারই একটি। উল্লেখযোগ্য, এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ে এ মামলার তদন্ত করার সময় এবং পরে প্রচুর বাধার সম্মুখীন হন, যার মধ্যে রাজনৈতিক বাধাও ছিল। উল্লেখযোগ্য, এ ড্রাগ মামলায় শাহরুখ খান পুত্র আরিয়ান খান এখনও জেলে। অভিনেতা চাংকি পান্ডের মেয়ে অনন্যা পান্ডে এনসিবি’র লেন্স-এ।
এদিকে শাহরুখপুত্র আরিয়ান খানকে বিতর্কিতভাবে গ্রেফতার করে সম্প্রতি আলোচনায় এসেছেন সমীর ওয়াংখেড়ে। তার জন্ম প্রশংসাপত্রে তার নাম সমীর দাউদ ওয়াংখেড়ে। কিন্তু ইউপিএসসি ফর্মে তার নাম সমীর ড্যানদেব ওয়াংখেড়ে। এনসিবি কর্মকর্তা সমীর ওয়াংখেড়ে এ নাম বিভ্রাটে বিতর্ক বেড়েছে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে।
সম্প্রতি এনসিপি নেতা নবাব মালিক এনসিবির জোনাল কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ের জন্মপঞ্জী প্রকাশ্যে আনেন। সেই নথি তিনি ট্যুইটও করেন। তাতে দেখা গেছে, এনসিবি কর্তার নাম সমীর দাউদ ওয়াংখেড়ে। যদিও ইউপিএসসির ফর্ম পূরণে তিনি নিজের নাম লিখেছেন সমীর ড্যানদেব ওয়াংখেড়ে। আর এখানেই বিতর্কের সূত্রপাত।
মালিকের আক্রমণ এখানেই শেষ নয়। তার প্রশ্ন, ‘প্রায়ই মালদ্বীপ, দুবাই যান ওয়াংখেড়ে, কী কারণ? সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর এ কর্তাকে জোনাল কর্তা হিসেবে এখানে এনেছে কেন্দ্র। উদ্দেশ্য যেনতেন প্রকারে বলিউডকে বিপাকে ফেলা। যদিও নিজেকে বহুত্ববাদে বিশ্বাসী, এমন পরিবারের সদস্য হিসেবে প্রেস বিবৃতি দিয়েছেন ওয়াংখেড়ে। তিনি লিখেছেন, ‘আমার বাবা হিন্দু, মা মুসলিম। বাবা ড্যানদেব কাচুরজি ওয়াংখেড়ে রাজ্য আবগারি দফতরের সিনিয়র ইনস্পেক্টর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০০৭ সালে তিনি চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন। আমার মা, প্রয়াত জাহিদা একজন মুসলিম মহিলা। আমি সেই পরিবারের সন্তান, যারা বহুত্ববাদ, ধর্মনিরপেক্ষ ভারতীয় সংস্কৃতির অংশ। আমি গর্বিত আমার ঐতিহ্যে।’
পাশাপাশি তার পারিবারিক বৃত্তান্ত প্রকাশ্যে আনায় সমালোচনায় সরব সমীর ওয়াংখেড়ে। তিনি বলেছেন, ‘আমাকে কলুষিত করতে আমার পরিবারের ভাবমর্যাদা নষ্ট করা হয়েছে। অযথা পারিবারিক ব্যক্তি পরিসরে অনুপ্রবেশ করা হয়েছে।’ এ বিতর্কের আবহে গ্রেফতারির শঙ্কায় বিশেষ আদালতের দ্বারস্থ সমীর ওয়াংখেড়ে। দিন কয়েক আগেই তিনি অভিযোগ করেছিলেন, তার গতিবিধি নজরবন্দি করা হয়েছে। এবার আদালতে তার দরবার, ‘অসৎ উদ্দেশে তাকে গ্রেফতার করা হতে পারে। এতে প্রভাবিত হবে বিচারাধীন একটি মামলা। আদালত অবিলম্বে সক্রিয় হয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিক।’ তবে, শাহরুখপুত্র আরিয়ান খানের গ্রেফতারি কাণ্ডে এখানেই বিতর্কের শেষ নয়। সম্প্রতি এই মামলায় এক সাক্ষী ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে ঘুষের অভিযোগ তুলেছেন। ৮ কোটি রুপির বিনিময়ে প্রমোদতরী ড্রাগ মামলা নিষ্পত্তি করতে চেয়েছিলেন ওয়াংখেড়ে। সেই মর্মে তাকে সাদা কাগজে সই করে নেয়া হয়েছিল। এমনটাই অভিযোগ সেই সাক্ষীর। সূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস ও দৈনিক দ্য হিন্দু।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।