মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
প্যারালাল ইউনিভার্স বা সমান্তরাল বিশ্ব হচ্ছে এমন একটি তত্ত্ব যেখানে বলা হয়েছে মহাবিশ্বে একাধিক পৃথিবী রয়েছে এবং তারা একটি অন্যটির প্রতিরূপ। প্যারালাল ইউনিভার্স আমাদের ব্রহ্মাণ্ডের মতো আরও একটি বা একাধিক ব্রহ্মাণ্ড যা ঠিক আমাদেরই মতো। সেখানকার প্রকৃতি, ভূমণ্ডল এমনকি প্রাণিজগৎও একেবারে আমাদেরই মতো। হুবহু আমাদেরই মতো দেখতে সবকিছু। একেবারে যেন আমাদের যমজ বিশ্ব।
এমনকি এটাও ধারণা করা হয় যে, প্যারালাল ইউনিভার্স এর পৃথিবীর মত যে গ্রহগুলো আছে সেগুলোতে একই ধরণের মানুষ আছে। হতে পারে আপনি যেমন এই লেখাটি এই মুহূর্তে পড়ছেন ঠিক আরেকটি প্যারালাল ইউনিভার্স এ আপনার প্রতিরূপ আরেকজন আছে যে এই মুহূর্তে এই লেখাটিই পড়ছে এবং আপনারা দু’জনেই দু’জনের কথা ভাবছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে মতভেদ আছে। কেউ কেউ এর অস্তিত্ব রয়েছে বলে বিশ্বাস করলেও অনেকেই একে উড়িয়ে দেন। তবে সম্প্রতি কয়েকটি ঘটনায় প্যারালাল ইউনিভার্স সম্বন্ধে ধারণা আরও জোরদার হয়েছে।
২০১৬ সালে নাসার বিজ্ঞানীরা অনিটা (অ্যান্টার্কটিক ইমপালসিভ ট্রানসিয়েন্ট অ্যান্টেনা ) নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। এটি হচ্ছে মূলত অনেকগুলো এন্টেনা বসানো একটি হিলিয়াম ভর্তি বেলুন। এটি তৈরি করা হয়েছিল উচ্চ শক্তি সম্পন্ন মহাজাগতিক রশ্মির নিউট্রিনোস শনাক্ত করার জন্য। এগুলোই হল একমাত্র নিউট্রিনোস যা শক্তির ক্ষয় ছাড়াই পৃথিবীতে পৌঁছাতে পারে। কিন্তু নাসার বিজ্ঞানীরা অবাক হন যখন তারা দেখতে পান অনিতা ‘টাও নিউট্রিনোস’ নামক আরও শক্তিশালী কণা শনাক্ত করেছে যেগুলো পৃথিবী থেকে বের হয়ে আসছে। এর অর্থ এটা হতে পারে যে কণাগুলোর সময়ের বিপরীতে ভ্রমণ করছে যা প্যারালাল ওয়ার্ল্ডের একটি প্রমাণ হতে পারে। আবার এর মানে এটি হতে পারে যে প্যারালাল ওয়ার্ল্ড সময় এর বিপরীতে চলছে।
সম্প্রতি, ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির প্লাঙ্ক স্যাটেলাইট ক্ষুদ্র রশ্মির পটভূমির (সিএমবি) ম্যাপ তৈরি করেছে, আমাদের মহাবিশ্ব কিভাবে স্পিত এবং বর্ধিত হয়েছে এটি হচ্ছে তার রেকর্ড।
আপাতদৃষ্টিতে সিএমবির তাপমাত্রা স্বাভাবিক দেখালেও মাইক্রো কেলভিন স্কেলে তাপমাত্রার অনেক তারতম্য দেখা যায়। ক্ষুদ্র কোয়ান্টাম কণার ঘনত্বের তারতম্যে এমন হয়। কিন্তু প্রশ্নের সৃষ্টি হয় যখন সিএমবির একটি বড় অংশে নিম্ন তাপমাত্রার এলাকা দেখা যায়। যদিও এর কোন সঠিক ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে অনেক বিজ্ঞানীই ধারণা করেন আমাদের বিশ্বের সাথে প্যারালাল ওয়ার্ল্ডের সংঘর্ষের কারণেই এমনটি ঘটেছে।
পদার্থবিজ্ঞানের তত্ত্বমতে, আমাদের এ বিশাল বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে আমাদের মহাবিশ্বের মতোই সমান্তরাল কিছু মহাবিশ্ব রয়েছে, যেখানে সময় আমাদের উল্টোদিকে প্রবাহিত হয়। অর্থাৎ, বিশ্বজগতের কোথাও ঠিক এমন একটি মহাবিশ্ব আছে, যেখানে হয়তো আমাদের মতোই মিল্কিওয়ে ছায়াপথ আছে, আছে নানা নীহারিকা। সেখানেও সৌরজগতের মাঝে পৃথিবী নামে নীলাভ একটি গ্রহ আছে, যে গ্রহে হয়তো এই মুহুর্তে আপনার মতো দেখতে কেউ একজন অসীম আগ্রহ নিয়ে প্যারালাল ইউনিভার্সের তত্ত্ব সম্পর্কে পড়াশোনা করছে। অর্থাৎ, বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের কোথাও না কোথাও একইরকমের কিছু সমান্তরাল মহাবিশ্ব রয়েছে, যারা একে অপরের অস্তিত্ব সম্পর্কে জানে না। একেই সাধারণভাবে প্যারালাল ইউনিভার্স বলা হয়ে থাকে। সূত্র: দ্য ফিউচারিস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।