মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রাশিয়ান এবং চীনা যুদ্ধজাহাজ গত সপ্তাহে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে তাদের প্রথম যৌথ টহল সম্পন্ন করেছে। শনিবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে। এ বিষয়ে জাপান বলেছে যে, তারা এটি পর্যবেক্ষণ করছে। মস্কো এবং বেইজিং, যারা অক্টোবরের শুরুতে জাপান সাগরে নৌ-সহযোগিতামূলক মহড়ার আয়োজন করেছিল, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এমন এক সময়ে ঘনিষ্ঠ সামরিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছে যখন পশ্চিমের সাথে তাদের সম্পর্ক তিক্ত হয়েছে। রোববার থেকে শনিবার পর্যন্ত যেসব নৌযান চালানো হয়েছে বলে রাশিয়া জানিয়েছে, সেগুলো ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জাপান জানিয়েছে। তারা সপ্তাহের শুরুতে বলেছিল যে, চীন এবং রাশিয়া থেকে ১০ টি জাহাজের একটি বহর জাপানের প্রধান দ্বীপ এবং তার উত্তরের দ্বীপ হকাইদোকের মাঝের সুগারু প্রণালী দিয়ে যাত্রা করেছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘টহলের অংশ হিসেবে জাহাজের বহর প্রথমবারের মতো সুগারু প্রণালী দিয়ে গেছে।’ প্রণালীটিকে আন্তর্জাতিক সমুদ্র হিসাবে বিবেচনা করা হয়। মন্ত্রণালয় যোগ করেছে, ‘টহলগুলোর উদ্দেশ্য ছিল রাশিয়ান এবং চীনা রাষ্ট্রীয় পতাকার প্রদর্শন, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং দুই দেশের সামুদ্রিক অর্থনৈতিক কার্যক্রমের বিষয়গুলোর অভিভাবকত্ব।’ চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় রোববার বলেছে যে, যৌথ মহড়ার লক্ষ্য ‘নতুন যুগে চীন-রাশিয়া ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও বিকাশ করা, উভয় পক্ষের যৌথ কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং যৌথভাবে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক কৌশলগত স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।’ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই অভিযান দুই দেশের মধ্যে বার্ষিক সহযোগিতার অংশ এবং এটি কোন তৃতীয় পক্ষকে লক্ষ্য করে নয়। জাপানের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রোববার রাশিয়ান ও চীনা জাহাজ ওসুমি প্রণালী দিয়ে দক্ষিণ জাপানি প্রদেশ কাগোশিমা অতিক্রম করেছে। বিদেশী জাহাজগুলোকে ওসুমি এবং সুগারু প্রণালী দিয়ে চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়েছে কারণ সেগুলো আন্তর্জাতিক নৌপথ। তবে জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে যে, এটি দুই দেশের নৌবাহিনীর উপর নজর রাখবে। তারা সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলোকে ‘অস্বাভাবিক’ হিসাবে চিহ্নিত করেছে। তবে জাপানি কর্মকর্তারা এ বিষয়ে সরাসরি কোন মন্তব্যের করেননি। সূত্র : রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।