Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মোহামেডানের প্রথম জয়

প্রকাশের সময় : ১৫ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : ঘরোয়া ফুটবলের মর্যাদাপূর্ণ আসর জেবি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে শনির দশা যেন কিছুতেই কাটছে না দু’মৌসুম আগে ট্রেবলজয়ী শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের। লিগে আগের ম্যাচে ঐতিহ্যবাহী ঢাকা মোহামেডানের বিপক্ষে জয় পেয়ে এবারের মৌসুমে প্রথম তিন পয়েন্টের মুখ দেখলেও ঠিক পরের ম্যাচেই আবার হেরেছে তারা। গতকাল বিকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে দশম রাউন্ডের খেলায় আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ ১-০ গোলে হারায় শেখ রাসেলকে। বিজয়ী দলের পক্ষে ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার থিয়াগো টাইসন সিলভা একমাত্র জয়সুচক গোলটি করেন। লিগে এটা আরামবাগের তৃতীয় জয়। আর শেখ রাসেলের সপ্তম হার। দশ ম্যাচ শেষে আরামবাগ ১৪ পয়েন্ট পেয়ে তালিকায় আগের অবস্থান ষষ্ঠস্থানেই রয়ে গেল। সমান ম্যাচে শেখ রাসেলের সংগ্রহ ৫ পয়েন্ট। তারা রয়েছে এগারোতম স্থানে। অন্যদিকে একই ভেন্যুতে সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত ম্যাচে ঢাকা মোহামেডান ১-০ গোলে হারায় শিরোপা প্রত্যাশী শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে। বিজয়ী দলের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন ফরোয়ার্ড তৌহিদুল আলম সবুজ। এবারের লিগে এটা মোহামেডানের প্রথম জয়। দশ ম্যাচ শেষে ৯ পয়েন্ট পেয়ে তারা তালিকার নবমস্থানে উঠে আসলো। সমান ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয়স্থানেই রইলো শেখ জামাল। 

কাল আরামবাগ-রাসেল ম্যাচের শুরু থেকে দু’দল আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ করে খেললেও বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিলো শেখ রাসেলই। তবে তাদেও ফরোয়ার্ডরা কাজের কাজ কিছুই করতে পারেননি। আরামবাগ শুরু থেকেই জয়ের লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ে শেষ পর্যন্ত তা তুলে নেয়। ম্যাচের প্রথমার্ধে গোল হজমের পর অনেক চেষ্টা করেও সমতায় ফিরতে পারেনি রাসেল। ১৮ মিনিটে রাসেল মিডফিল্ডার জামাল ভুইয়ার কর্নাওে হেড করেছিলেন ফরোয়ার্ড সাখাওয়াত রনি। আরামবাগ গোলরক্ষক পাপ্পু হোসেন বলের ফ্লাইটে পরাস্ত হলে বল সাইড পোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। নিশ্চিত গোলবঞ্চিত হয় শেখ রাসেল। তবে প্রতিপক্ষের আক্রমণ প্রতিহত করে পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে সফল হয় আরামবাগ। ম্যাচের ৩৭ মিনিটে দ্রæতগতির একটি পাল্টা আক্রমণে এগিয়ে যায় মতিঝিলের দলটি। এসময় মাঝমাঠ থেকে আরামবাগের ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার থিয়াগো টাইসন সিলভাকে আড়াআড়ি একটি স্কয়ার পাস দেন আরেক মিডফিল্ডার আবদুল্লাহ। টাইসনের বাম পায়ের বাঁকানো শট রাসেল মিডফিল্ডার মোনায়েম খান রাজুর কাঁধে লেগে জালে আশ্রয় নিলে এগিয়ে যায় বিজয়ীরা (১-০)। এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় তারা। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে গোলশোধে মরিয়া হয়েই লড়ে শেখ রাসেল। তারা একের পর এক আক্রমণ চালিয়েও আরামবাগের রক্ষণদূর্গ ভেদ করতে পারেনি। আক্রমণের ধারাবাহিকতায় থেকে ম্যাচের ৬৯ মিনিটে রাসেল ফরোয়ার্ড সাখাওয়াত রনি গোলপোস্টে শট নিলে তা ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে দলকে বাঁচান গোলরক্ষক পাপ্পু। ৭৭ মিনিটে বক্সের মাঝ থেকে ভালো পজিশনে থেকেও বল সাইড পোস্টের বাইরে মারেন রাসেলের ক্যামেরুনের ফরোয়ার্ড পল এমিল। ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় গোলশোধের বেশ কিছু সুযোগ হাতছাড়া করায় শেষ পর্যন্ত হারের গøানি নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় শেখ রাসেলকে।
সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত মোহামেডান-শেখ জামাল ম্যাচে শুরু থেকেই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে লড়ে সাদা-কালোরা। তবে সফলতা পায় তারা ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে। প্রথমার্ধে গোলের বেশ কিছু সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই মোহামেডান গোল আদায় করে নেয়। ম্যাচের ৪৮ মিনিটে পেট্রিকের কর্ণার কিকের বল বক্সে পেয়ে শাহেদ তা বাড়িয়ে দেন তৌহিদুল আলম সবুজের উদ্দেশ্যে। সবুজ চমৎকার প্লেসিং শটে গোল কওে দলকে আনন্দে ভাসান (১-০)। শেষ পর্যন্ত তার গোলেই জয়ী বেশে মাঠ ছাড়ে মোহামেডান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মোহামেডানের প্রথম জয়

১৫ অক্টোবর, ২০১৬
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ