নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : ইতিহাসের ম্যাচ তো বটেই। এমনিতেই ক্রিকেটের দীর্ঘ্যতম সংস্করণে এটি পাকিস্তানের প্রথম দিবা-রাত্রির ম্যাচ। ম্যাচটির মহত্ব আরো বেড়ে যায় এটি তাদের ৪০০তম টেস্ট ম্যাচ হওয়ায়। ম্যাচটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ঠিক পথেই এগুচ্ছে মিজবাহ-উল-হকের দল। আর এই কাজে প্রথমে ব্যাট হাতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান আজহার আলী। তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় দ্বিশতক, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাকিস্তানও হাটছে বিশাল সংগ্রহের পথে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৫০২ রান।
ব্যক্তিগতভাবে আজহারের এটি মাইলফলকের ম্যাচও। নিজের পঞ্চাশতম ম্যাচটি স্মরণীয় করে রাখতে প্রথম দিনেই তুলে নিয়েছিলেন ক্যারিয়ারের একাদশতম সেঞ্চুরি। বসেছিলেন তিন পাকিস্তানি ব্যাটিং গ্রেট হানিফ মোহাম্মাদ ও ইউনুস খানদের পাশে। দুজনেই পঞ্চাশ ম্যাচে করেছিলেন ১২টি করে শতক, ১১টি শতক আছে আরেক গ্রেট মোহাম্মাদ ইউসুফের নামের পাশেও। তবে এমন মাইলফলকের ম্যাচে আজহার অবশ্য এখনো থামেননি। দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে পানি পানের বিরতির পরও ব্যাটে ছিলেন ২৫৭ রান করে। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস দিয়ে ইতোমধ্যে হয়ে গেছেন দেশের হয়ে উইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংসের মালিক। ৩৩৭ রানের সেই মহাকাব্যিক ইনিংস নিয়ে সবার উপরে সদ্য প্রয়ত হানিফ মোহাম্মাদ। ১৯৯২ সালে আমির সোহেলের পর প্রথম কোন পাকিস্তানি হিসেবে প্রথম ইনিংসে দ্বিশতক করলেন ৩২ ছুঁই ছুঁই। দুবাইয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংসও এখন আজহারের। ২০১৩ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২৩৪ রান করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান গ্রায়াম স্মিথ।
মাত্র ২৭৯ রানে এক উইকেট হারিয়ে প্রথম দিন শেষ করেছিল পাকিস্তান। ক্যারিয়ারের প্রথম শতক থেকে মাত্র ১০ রান দুরে থাকতে আউট হওয়ার আগে উদ্বোধনী জুটিতে আজহারের সঙ্গে দেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ ২১৫ রানের জুটি গড়েন সামি আসলাম। আজহার অপরাজিত ছিলেন ১৪৬ রানে। আজও ইনিংসটাকে আরো লম্বা করার দায়িত্ব নেন পাক ওয়ানডে অধিনায়ক। প্রথম সেশনে শুধুমাত্র আসাদ শীফকের উইকেটটি হারিয়ে যোগ করেন ১১২ রান। সাকুল্যে এই জুটি থেকে আসে ১৩৭ রান। শফিক খেনে ৬৭ রান করে। এরপর অভিষিক্ত বাবর আজমকে নিয়ে আজহার আছেন আরেক বড় জুটির পথে। ইতোমধ্যে ১৫০ রানের জুটি হয়ে গেছে তাদের। তৃতীয়বারের মত প্রথম তিন ইউকেটেই শতরানের জুটি দেখল টেস্ট ক্রিকেট। বাবর অপরাজিত আছেন ৬৬ রানে। উইকেট থেকে তেমন সুবিধা আদায় করে নিতে পারছেন না ক্যারিবিয় বোলররা। মাঝে মাঝে দু-একটি ফিফটি-ফিফটি সুযোগ তৈরী করতে পারলেও তা পূর্ণতায় রুপ দিতে পারেনি হোল্ডার বাহিনী। উইকেট দুটি নেন দুই স্পিনার দেবেন্দ্র বিশু ও রস্টন চেইজ। শ্যানোন গ্যাব্রিয়েলের ১৪৭ কিলেমিটার/ঘন্টা গতির বলও ধন্দে ফেলতে পারছে না পাক ব্যাটসম্যানদের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : পাকিস্তান ১ম ইনিংস - ৫০০/২ (আসলাম ৯০, আজহার ২৫৬*, শফিক ৬৭, বাবর ৬৬)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।