পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা থেকে বেনাপোলগামী বিরতিহীন ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ ট্রেনটির শিডিউল বিপর্যয় চরমে পৌঁছেছে। এতে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসা যাত্রী ও ঢাকা থেকে কলকাতায় যাওয়া যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। বুধবার ছাড়া সপ্তাহে ছয় দিন রাজধানীর কমলাপুর থেকে রাত ১১টা ১৫ মিনিটে বেনাপোলের উদ্দেশে ছেড়ে যায় আন্তঃনগর এ ট্রেনটি। বেনাপোল স্টেশনে পৌঁছার সম্ভাব্য সময় থাকে সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে। কিন্তু তা দুপুর ১২টায় পৌঁছায়। এর ফলে কলকাতাগামী অনেক যাত্রী সঠিক সময়ে কলকাতা পৌঁছাতে পারেন না। অনেকের ডাক্তারের সিরিয়াল দেওয়া থাকলেও ট্রেন দেরি করার কারণে যথাসময়ে পৌঁছাতে পারে না। ট্রেনের এ বিলম্বের কারণে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন ঢাকা-কলকাতা রুটের অনেক যাত্রী।
কলকাতা থেকে ফেরত একাধিক যাত্রী জানান, গত সপ্তাহে কলকাতা যাওয়ার জন্য দুদিন আগে বেনাপোল এক্সপ্রেসের টিকিট কিনে সময় অনুযায়ী রাত সাড়ে ১০টার আগেই কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছান। রাত ১১টা ১৫ মিনিটে বেনাপোলের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও তা ছাড়ে রাত ১২টায়। এছাড়া সকাল সোয়া ৮টায় বেনাপোল পৌঁছার কথা থাকলেও সেই ট্রেন দুপুর ১২টায় পৌঁছায়। এরপর কাস্টমসের বিভিন্ন কাজ সেরে দুপুর ২টায় বেনাপোল থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হতে হয়। এভাবে প্রতিদিন ঢাকা-বেনাপোল এক্সপ্রেসটি দুই থেকে চার ঘণ্টা দেরিতে পৌঁছায় স্টেশনে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, গত বছরের ১৭ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ট্রেনটি উদ্বোধন করেন। প্রথম দিন ট্রেনটি বেনাপোল থেকে দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে। এরপর সপ্তাহে ছয় দিন বিরতিহীনভাবে চলাচল করছে ট্রেনটি। কিন্তু প্রতিদিন যথাসময়ে স্টেশনে পৌঁছাতে পারে না। ১০টি কোচ দিয়ে ৭৮০ যাত্রী নিয়ে চলাচল করা ট্রেনটিতে এসি চেয়ারের কোচ দুটি এবং কেবিন কোচ একটি। ঢাকা-বেনাপোলের নন-এসি শোভনের টিকিট ৪৮৫ টাকা, এসি চেয়ার ৯৩২ টাকা ও কেবিনের ভাড়া এক হাজার ১১৬ টাকা। আধুনিক এই ট্রেনের বগিগুলো ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা। ট্রেনটিতে বিমানের মতো বায়ো-টয়লেট সুবিধা রয়েছে। ট্রেনটি প্রতিদিন বেলা সাড়ে ১১টার সময় বেনাপোল থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসার কথা। কিন্তু তা ছাড়ে দুপুর সাড়ে ১২টায়। আবার রাত সোয়া ১১টার দিকে ঢাকা থেকে বেনাপোলের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা; কিন্তু সঠিক সময় তা ছেড়ে যেতে পারে না। সকাল ৮টার মধ্যে ট্রেনটি বেনাপোল স্টেশনে পৌঁছার কথা; কিন্তু তা দুপুর ১২টায় পৌঁছায়। এভাবে প্রতিদিন ট্রেন শিডিউল বিপর্যয়ের শিকার হতে হয় যাত্রীদের।
দেশে স্থলপথে যে বাণিজ্য হয়, তার ৭০ শতাংশ হয় বেনাপোল বন্দর দিয়ে। ব্যবসায়িক প্রয়োজনে, চিকিৎসা ও ভ্রমণে এ পথে মানুষ বেশি ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত করে থাকে। এ পথে বাসযাত্রা সুখকর নয়। বাসে সীমাহীন দুর্ভোগে যাতায়াত করতে হয়। বিশেষ করে বাসে অজ্ঞান পার্টির দৌরাত্ম্য আর দুর্ঘটনা লেগেই থাকে। তবে রেলসেবা চালু হওয়ায় অনেক যাত্রী এখন রেলে চলাচল করেন। তবে শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।