পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
করোনার ধকল কাটিয়ে বিশ্ববাজারে বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠেছে জ্বালানি তেলের বাজার। দফায় দফায় দাম বেড়ে বিশ্ববাজারে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ৮৩ ডলারে ছাড়িয়ে গেছে। এর মাধ্যমে বিশ্ববাজারে টানা তিন সপ্তাহ জ্বালানি তেলের দাম বাড়লো। এতে সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে উঠে এসেছে তেলের দাম।
বিশ্বাবাজারে তেলের দাম বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা যায় গত বছরের নভেম্বর থেকেই। তবে চলতি বছরের জুন থেকে তেলের দাম বৃদ্ধির প্রবণতায় নতুন হাওয়া লাগে। ২০১৮ সালের অক্টোবরের পর গত জুনে করোনার প্রকোপের মধ্যে প্রথমবারের মতো অপরিশোধিত তেলের ব্যারেল ৭৫ ডলারে উঠে আসে। আর দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যহত থাকায় চলতি মাসে সাত বছরের মধ্যে প্রথমবার অপরিশোধিত তেলের ব্যারেল ৮০ ডলার স্পর্শ করে। তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, অপরিশোধিত তেলের পাশাপাশি ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। তবে হান্টিং অয়েলের দাম গেল সপ্তাহে কিছুটা কমেছে। অবশ্য মাসের ব্যবধানে হান্টিং অয়েলের দামেও বড় উত্থান হয়েছে। গত এক মাসে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়েছে ১৪ শতাংশের ওপরে। ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম বেড়েছে প্রায় ১১ শতাংশ। আর হান্টিং অয়েলের দাম বেড়েছে প্রায় ১৩ শতাংশ।
গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম এক দশমিক ২৬ ডলার বেড়ে ৮৩ দশমিক ৭৬ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়েছে এক দশমিক ৮০ শতাংশ। আর মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ১৪ দশমিক ২৭ শতাংশ।
ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে এক দশমিক শূন্য ৫ ডলার বেড়ে প্রতি ব্যারেল ৮৫ দশমিক ৬৬ ডলারে উঠে এসেছে। এতে গত এক সপ্তাহে ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম বেড়েছে দশমিক ৯৪ শতাংশ। আর মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
অপরদিকে গত এক সপ্তাহে এক দশমিক ৩৫ শতাংশ কমে প্রতি গ্যালন হান্টিং অয়েলের দাম দুই দশমিক ৫৩ ডলারে নেমে গেছে। এরপরও মাসের ব্যবধানে হান্টিং অয়েলের দাম ১২ দশমকি ৮৯ শতাংশ বেড়েছে।
বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ ভয়াবহ রূপ নিলে গত বছরের ২০ এপ্রিল বিশ্ববাজারে ইতিহাসের সর্বোচ্চ দরপতনের মধ্যে পড়ে তেল। সেদিন প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ঋণাত্মক ৩৭ ডলারের নিচে নেমে যায়। রেকর্ড এই দরপতনের পরেই অবশ্য তেলের দাম বাড়তে থাকে। এতে রেকর্ড দরপতনের ধকল সামলে গত বছরের বেশিরভাগ সময় প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ৪০ ডলারে আশেপাশে ঘুরপাক খাচ্ছিল।
কিন্তু বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নতুন করে বৃদ্ধি পাওয়া এবং লিবিয়ায় তেল উত্তোলন বৃদ্ধি পাওয়ায় একসময় বিশ্ববাজারে তেলের বড় দরপতন হয়। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে অপরিশোধিত ও ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম প্রায় ১০ শতাংশ কমে যায়। তবে এই পতনের ধকল কাটিয়ে গত বছরের নভেম্বর থেকে আবার তেলের দাম বাড়তে শুরু করে। অবশ্য প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ৫০ ডলারের নিচে থেকেই ২০২০ সাল শেষ হয়। চলতি বছরের শুরুতেও তেলের দামে এই বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা যায়। কয়েক দফা দাম বেড়ে করোনার মধ্যে প্রথমবার ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ৬০ ডলারে উঠে আসে। এর মাধ্যমে মহামারি শুরু হওয়ার আগের দামে ফিরে যায় তেল। এদিকে সম্প্রতি তেলের দামে বড় উত্থান হওয়ার মাধ্যমে চলতি বছর অপরিশোধিত তেলের দাম ৭২ দশমিক ৬৩ শতাংশ, ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম ৬৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ এবং হান্টিং অয়েলের দাম ৭১ দশমিক শূন্য ৮ শতংশ বেড়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।