পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সমন্বয় করতে অবশেষে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যেই ফার্নেস অয়েলের দাম কমানো হয়েছে। এরই ধারবাহিকতায় কমানো হবে অকটেন, কেরোসিন, ডিজেল ও পেট্রোলের দামও। তবে তিন ধাপে এই দাম কমানো হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
জানা গেছে, অকটেন ও পেট্রোলে লিটারপ্রতি গড়ে সাড়ে ১১ টাকা এবং ডিজেল ও কেরোসিনের প্রতি লিটারে সর্বোচ্চ সাড়ে ১৩ টাকা পর্যন্ত কমানোর সুপারিশ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই জ্বালানি তেলের মূল্য পুনর্নির্ধারণ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
এর আগে এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের চাহিদা অনুযায়ী অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ সুপারিশ তৈরি করে তা অর্থমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করেন। অর্থমন্ত্রীর সাড়া পেয়েই তেলে দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার এরই আলোকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এই আভাস দেন।
উল্লেখ্য, বর্তমানে প্রতি লিটার ডিজেল বিক্রি হয় ৬৮ টাকায়। এতে সরকারের লাভ হয় ২৩ টাকা ৩২ পয়সা। প্রতি লিটার ডিজেলের দাম কমিয়ে ৫৪ টাকা ৪০ পয়সা নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়েছে। এরপরও সরকারের লাভ হবে ৯ টাকা ৭২ পয়সা।
প্রতি লিটার অকটেনে দাম কমানোর সুপারিশ করা হয়েছে ৯ টাকা ৯০ পয়সা। বর্তমানে প্রতি লিটার অকটেন ৯৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এটা ৮৯ টাকা ১০ পয়সা বিক্রি করার প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি বছর জানুয়ারি-মার্চ সময়ে প্রতি লিটার অকটেনে সরকারের লাভ হয়েছে ৩৭ টাকা। দাম সমন্বয়ের পর প্রতি লিটারে লাভ হবে ২৭ টাকা ১১ পয়সা। প্রতি লিটার কেরোসিনের দাম ১৩ টাকা ৬০ পয়সা কমানোর সুপারিশ করা হয়েছে। বর্তমানে প্রতি লিটার কোরোসিন বিক্রি হচ্ছে ৬৮ টাকা। এতে সরকারের লাভ হয় ২২ টাকা ৭১ পয়সা। কেরোসিনের দাম কমিয়ে ৫৪ টাকা ৪০ পয়সা করার সুপারিশ করা হয়েছে। এতে সরকারের লাভ হবে ৯ টাকা ১১ পয়সা।
রিপোর্টে প্রতি লিটার পেট্রোলের দাম কমানোর সুপারিশ করা হয়েছে ৯ টাকা ৬০ পয়সা। বর্তমানে প্রতি লিটার পেট্রোল বিক্রি হচ্ছে ৯৬ টাকায়। এতে সরকারের লাভ হয় ৩৩ টাকা ৫০ পয়সা। প্রতি লিটার পেট্রোলের দাম ৮৬ টাকা ৪০ পয়সা বিক্রির সুপারিশ করা হয়েছে। এতে সরকারের লাভ হবে ২৩ টাকা ৯০ পয়সা।
এদিকে, ফার্নেস অয়েলের দাম ইতিমধ্যেই সমন্বয় করা হয়েছে। এই দাম সমন্বয়ের আগে প্রতি লিটার ফার্নেস অয়েল বিক্রি হতো ৬০ টাকা। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা। দাম কমানোর আগে প্রতি লিটার ফার্নেস অয়েলে লাভ হতো ২৬ টাকা ২৩ পয়সা। দাম কমানোর পর লাভ হচ্ছে ১৪ টাকা ২৩ পয়সা।
দেশের বিভিন্ন মহলের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করার দাবি অনেক দিনের। কিন্তু বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) এর পুঞ্জিভূত লোকসান ও বিভিন্ন ব্যাংকে বিপুল অংকের ঋণ পরিশোধের অজুহাতে জ্বালানি তেলের দাম আর সমন্বয় করা হয়নি। ইতিমধ্যে বিপিসি তাদের ঋণ পরিশোধ করার পর বর্তমানে লাভজনক অবস্থানে আছে। এ অবস্থায় দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কথা বিবেচনায় নিয়ে বিভিন্ন ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
অর্থ সচিবের সুপারিশে বলা হয়েছে, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দরপতনের ফলে অকটেন এবং পেট্রোল বিক্রয়ে বিপিসির লাভ হচ্ছে ৩৭ টাকা ১ পয়সা ও ৩৩ টাকা ৫০ পয়সা। এ দুটি জ্বালানি সমাজের উচ্চবিত্তরা ব্যবহার করলেও লাভ বিবেচনায় ১০ শতাংশ কমানো যৌক্তিক হবে বলে প্রতীয়মান হয়। এতে করে অকটেনের দাম দাঁড়ায় ৮০ টাকা ১০ পয়সা এবং পেট্রোলের দাম ৮৬ টাকা ৪০ পয়সা।
সুপারিশে আরও বলা হয়, দেশে বর্তমানে ক্রমবর্ধমান সিএনজি চালিত যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে এবং পরিবেশের উপর এর বিরূপ প্রভাব বিবেচনায় এ দুটি জ্বালানির দাম বর্ণিত হারে কমানো যেতে পারে। দাম কমানোর পরও এ দুটি জ্বালানি বিক্রয়ে লাভ হবে লিটার প্রতি প্রায় ২৭ টাকা ১১ পয়সা এবং ২৩ টাকা ৯০ পয়সা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।