Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পশুরের স্রোতে খুলনায় বেড়িবাঁধে ২৫০ মিটার ফাটল

বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশংকা

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২২ অক্টোবর, ২০২১, ৭:১২ পিএম | আপডেট : ৭:২০ পিএম, ২২ অক্টোবর, ২০২১

খুলনার দাকোপের চালনা পৌরসভার খলিশা স্লুইচ গেটের দক্ষিণ পাশে ২৫০ মিটার পাউবো’র বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ফাটল দেখা দিয়েছে। গেল রাতে (বৃহষ্পতিবার মধ্যরাত) পশুর নদীর পানির তীব্র চাপে বাঁধটি হঠাৎ ৩ ফুট ধ্বসে যাওয়ায় সমগ্র পৌরবাসীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। বাঁধটির পাশ দিয়ে দ্রুত বিকল্প বাঁধ নির্মাণ না করা হলে যে কোন মুহুর্তে পশুর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গোটা পৌরসভা প্লাবিত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। ভয়াবহ এ নদী ভাঙ্গনের পাশে বসবাসকারী অনেকে তাদের ঘরবাড়ি ও স্থাপনা অন্যত্র সরিয়ে নিতে দেখা গেছে।

সরেজমিনে ঘুরে ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাগেছে, চালনা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড বড় খলিশা গ্রামে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পাউবো’র ২৫০ মিটার (সিসি ব্লক) বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ফাঁটল ও বাঁধটি ৩ ফুট ধ্বসে গেছে। এ বাঁধটি অধিক ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় পৌরবাসী আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। বাঁধটি নদী গর্ভে বিলীন হলে চালনা পৌরসভার ৯টি গ্রামসহ সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসহ কয়েকটি স্কুল কলেজ, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও কয়েক হাজার বসতঘর বাড়ি প্লাবিত হওয়ার আশংকা রয়েছে।
এদিকে, পানির চাপে চালনা পৌরসভার গোড়কাঠি, খলিশাসহ পানখালী ইউনিয়নর খোনা, পানখালী ফেরীঘাটের পূর্ব পাশে, পানখালী জাবেরের খেয়াঘাটের পাশে, লক্ষ্মীখোলা পিচের মাথা, তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের বটবুনিয়া, ঝালবুনিয়া, কামিনী বাসিয়া গ্রামে ওয়াপদা বেড়িবাঁধ ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
চালনা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শুভংকর রায় বলেন, খলিশা স্লুইচ গেটের দক্ষিণ পাশে কয়েকদিন পূর্বে ৫০ মিটার এলাকা নিয়ে ফাটল দেখা দেয়। তা সংস্কারের জন্য পাউবো’র কর্তৃপক্ষ সংস্কারের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেন। কিন্তু ঠিকাদাররা ওই স্থানে এখন পর্যন্ত কাজ শুরু না করায় হঠাৎ বিশাল এলাকা নিয়ে বাঁধটি ফাটল দেখা দিয়েছে।
চালনা পৌরসভার মেয়র সনত কুমার বিশ্বাস বলেন, আমি শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বৃহস্পতিবার রাতে খলিশা গ্রামের স্লুইচ গেটের দক্ষিণ পাশে সিসি ব্লক পানি উন্নয়ন বোর্ডের এ বাঁধটি ভয়াবহ ফাটল ও হঠাৎ ৩ থেকে সাড়ে ৩ ফুট ধ্বসে যায়। এ বাঁধটির পাশ দিয়ে যদি দ্রুত বিকল্প বাঁধ নির্মাণ করা না হয় তাহলে পশুর নদী গর্ভে যে কোন মুহুর্তে বাঁধটি বিলীন হয়ে গোটা পৌরসভা প্লাবিত হওয়ার আশংকা রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিন্টু বিশ্বাস বলেন,খলিশা গ্রামের বাঁধটিতে ভয়াবহ ফাটল ও বাঁধটি হঠাৎ করে ধ্বসে যাওয়ায়, বাঁধটি দ্রুত সংস্কারের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ধ্বসে
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ