পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ : ২০ ওভারে ১৮১/৭
পিএনজি : ১৯.৩ ওভারে ৯৭
ফল : বাংলাদেশ ৮৪ রানে জয়ী
বাংলাদেশ যখন খাদের কিনারে, তখনই ত্রাতা সাকিব আল হাসান। ওমানের বিপক্ষে হারলে থেমে যেতে পারতো বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মিশন। এই ম্যাচেই চেনা চেহারায় ফিরে ব্যাটে-বলে আলো ছড়িয়ে দলকে দারুণ এক জয় উপহার দেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার। আর পাপুয়া নিউগিনির (পিএনজি) বিপক্ষে সাকিব হয়ে উঠলেন অনবদ্য। তার চোখ ধাঁধানো অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে পিএনজিকে হারিয়ে বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে উঠে গেল বাংলাদেশ।
গতকাল মাসকাটের আল আমেরাত ক্রিকেট গ্রাউন্ডে পিএনজিকে উড়িয়ে দিয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। ওশেনিয়া অঞ্চলের দলটিকে ৮৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটা বাংলাদেশের সপ্তম জয় এবং রানের হিসাবে সবচেয়ে বড় জয়। আগের বড় জয়টি ছিল ওমানের বিপক্ষে, ৫৪ রানে।
তবে সুপার টুয়েলভের কোন গ্রুপে যাবে সেটা নিশ্চিত হতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয়েছে এদিন রাতে ‘বি’ গ্রুপের স্কটল্যান্ড-ওমান ম্যাচের ফলের ওপর। আর তাতে স্বাগতিক ওমানকে ৮ উইকেটে উড়িয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সুপার টুয়েলভে গ্রæপ ২-এ যোগ দিয়েছে স্কটিশরা। গ্রæপের শেষ ম্যাচে ১২৩ রানের লক্ষ্য তারা ছুঁয়ে ফেলে ১৮ বল বাকি থাকতেই। প্রথম রাউন্ডে তিন ম্যাচের সবগুলো জিতে ৬ পয়েন্ট নিয়ে সুপার টুয়েলভে স্কটিশরা খেলবে গ্রæপ ২-এ, যেখানে আছে ভারত, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান। দুই জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হওয়া বাংলাদেশ পরের ধাপে পড়েছে গ্রæপ ১-, যেখানে তাদের সঙ্গী ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা।
এর আগে পিএনজির বিপক্ষে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামে বাংলাদেশ। শুরুটা ভালো না হলেও ম্যাচ সেরা সাকিব, মাহমুদউল্লাহ ও সাইফউদ্দিনের ঝড়ো ইনিংসে ৭ উইকেটে ১৮১ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে বাংলাদেশ। যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। জবাবে সাকিবসহ বাংলাদেশের বাকি বোলারদের তোপের মুখে মাত্র ৯৭ রানেই শেষ হয় পিএনজির ইনিংস।
মাহমুদউল্লাহর ঝড়ো হাফসেঞ্চুরি (২৮ বলে ৫০), সাকিব আল হাসানের কার্যকারি ইনিংস (৩৭ বলে ৪৬) এবং আফিফ হোসেন (১৪ বলে ২১) ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের (৬ বলে ১৯*) ছোট ঝড়ে বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। তবে সুবিধা করতে পারেননি নাঈম শেখ (০), মুশফিকুর রহিম (৫) ও নুরুল হাসান সোহান (০)। ২৩ বলে ২৯ রান করেছেন লিটন দাস। পিএনজির তিন বোলার-কাবুয়া মোরেয়া, দামিয়েন রাভু ও আসাদ ভালা প্রত্যেকে নেন দুটি করে উইকেট।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়ে পিএনজি। ওপেনার লেগা সিয়কাকে সাইফউদ্দিন ফিরিয়ে দিলে শুরু হয় দলটির আসা যাওয়ার মিছিল। সাকিব, তাসকিন, মেহেদী; সবাই মিলে চেপে ধরেন প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের। তাতে জয়ের অনেক দূরে থাকতেই শেষ হয় পিএনজির ইনিংস।
পাওয়ার প্লেতে ১৪ রানে ৪ উইকেট তুলে তাদের চেপে ধরেছিল বাংলাদেশ। এরপর ২৯ রানে পতন হয় সপ্তম উইকেটের। পরিস্থিতি এমন ছিল যে তাদের অল্পতেই রুখে দেওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু বোলিংয়ের শুরুর ছন্দটা বাংলাদেশ ধরে রাখতে পারেনি। সেই সুযোগে কিপলিন ডরিগার দায়িত্বশীল ব্যাটিং হারের ব্যবধান কমায় মাত্র।
শুরুটা দেখে শুনে করলেও সাইফউদ্দিনের তৃতীয় ওভারে শেষ রক্ষা হয়নি ওপেনার সিয়াকার। ফ্লিক করতে গিয়ে লেগ বিফোরে এই ওপেনার বিদায় নেন ৫ রানে। এক ওভার বিরতি দিয়ে হানা দেন পেসার তাসকিনও! অধিনায়ক আসাদ ভালাকে ৬ রানে গøাভসবন্দি করান তিনি। নুরুল হাসানের ক্যাচ নেওয়ার ভঙ্গিটাও ছিল দর্শনীয়। ব্যাট হাতে আলো ছড়ানো সাকিব তাসকিনের পরের ওভারেই বল তুলে নেন। এসে সাজঘরে পাঠান চার্লস আমিনিকে। লং অনে তার দুর্দান্ত ক্যাচটি নিয়েছেন মোহাম্মদ নাঈম। দুই বল পর নতুন নামা সিমোন আতাইকেও সাকিব বিদায় দেন রানের খাতা খোলবার আগেই।
ব্যাটিংয়ে কেঁপে ওঠা পিএনজির রক্ষা কর্তা পাওয়া যায়নি এর পর। সাকিবের বলে সেসে বাউ ৭ রানে ফিরলে স্কোর দাঁড়ায় ২৪ রানে ৫ উইকেট। আগের ম্যাচে ত্রাস ছড়ানো নরমান ভানুয়াকে আজ হাতই খুলতে পারেননি। শ‚ন্য রানেই তাকে সাজঘরে পাঠিয়েছেন অফস্পিনার মেহেদী। সাকিব তার পর হিরি হিরিকে বিদায় দিয়ে তুলে নেন চতুর্থ উইকেট।
তার পর অবশ্য কিপলিন ডরিগার সঙ্গে জুটি করে কিছুটা ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন চ্যাড সপার। তবে ১১ রানের বেশি করতে পারেননি। তাকে বোল্ড করেছেন সাইফউদ্দিন। ডরিগা অবশ্য একপ্রান্ত আগলে সান্তানা পুরস্কারের খোঁজে ছিলেন। সেটা পেয়েছেনও।
৩৪ বলে ৪৬ রানে অপরাজিত থেকে হারের ব্যবধান কমিয়েছেন। তার ইনিংসে ছিল ২টি চার ও ২টি ছয়। রাভুকে নুরুল হাসানের ক্যাচ বানিয়ে পিএনজিকে ১৯.৩ ওভারে গুটিয়ে দিতে ভ‚মিকা রাখেন তাসকিন। ব্যাটে-বলে সমানতালে অবদান রেখে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতে নেন সাকিব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।