গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসি বিস্ফোরণ থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন দগ্ধ হয়েছেন। গতকাল দুপুর ১২টার পর হাসপাতালের ছয়তলায় আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়।
ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার মো. রায়হান জানান, আগুন লাগার খবর পেয়েই প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ শুরু করে। পরে আরও চারটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়। বেলা একটায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
কীভাবে আগুনের সূত্রপাত্র হয়েছে, আগুনে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে কি না, সে সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। তদন্তের মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হবে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা।
তবে পরে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, হাসপাতালের ছয়তলায় অবস্থিত ইকো ক্যাথ ল্যাবে এসির বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। ইকো ক্যাথ ল্যাবের টেকনিশিয়ান জহিরুল হক মজুমদার জানান, তারা ল্যাবে কাজ করছিলেন। হঠাৎ ল্যাবের এসির বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ল্যাবে আগুন ধরে যায়। আগুনে অন্তত ১০ জন দগ্ধ হন। দগ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে সাতজনের নাম জানা গেছে।
তারা হলেন মণিকা পেরেরা, শাহিনা আক্তার, মেরি আক্তার, রুমি খাতুন, সাইদুর রহমান, নাজমুল ইসলাম ও আলমগীর রাজন। এই সাতজনের মধ্যে ছয়জনকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা গেছে, ইকো ক্যাথ ল্যাবের ইনচার্জ মণিকা পেরেরার হাত, পা ও মুখ দগ্ধ হয়েছে। মেরি আক্তারের দুই হাত দগ্ধ হয়েছে। শাহিনা আক্তারের হাত ও মুখ দগ্ধ হয়েছে। রুমি খাতুনের দুই হাত ও বাঁ পা দগ্ধ হয়েছে। নাজমুল ইসলাম ও সাইদুর রহমানের হাত দগ্ধ হয়েছে। মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, ইকো ক্যাথ ল্যাবের পাশেই আইসিইউ অবস্থিত। তবে আগুন ইকো ক্যাথ ল্যাবের বাইরে ছড়ায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।