গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর পলাশীতে ট্রাফিক পুলিশের মামলায় অতিষ্ঠ হয়ে আবারও রাইড শেয়ারিংয়ের এক চালক নিজের মোটরসাইকেলে আগুন দিয়েছেন। তার এই ঘটনা দ্রুতই ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বাইকে আগুন দেওয়ার ছবি শেয়ার করে ফেসবুকে নানা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটিজেনরা।
ইলিয়াস মিয়া (৪০) নামের ওই ব্যক্তি মামলায় ত্যক্তবিরক্ত হয়ে বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) দুপুরের দিকে নিজের ডিসকভার মোটরসাইকেলে আগুন দেন। ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের কারণে মাস কয়েক আগে চার হাজার টাকা জরিমানা করে মামলা দিয়েছিলেন ট্রাফিক সার্জেন্ট।
নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেলেও সেই জরিমানার টাকা দিতে পারেননি। এর মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার দক্ষিণ নীলক্ষেত এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের হাতে ধরা পড়ায় এবার এক হাজার টাকা জরিমানা করে আরও একটি মামলা দেন।
আর এতে ক্ষোভে–হতাশায় নিজের মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন ওই ব্যক্তি। পুলিশ ওই ব্যক্তিকে লালবাগ থানায় নিয়ে এখন জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তিনি ১৩ বছর দেশের বাইরে ছিলেন। তার কাপড়ের ব্যবসা ছিল। করোনায় ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে দেড় মাস আগে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর থেকে তিনি ঢাকায় আসেন। যাত্রাবাড়ী মাতুয়াইল এলাকায় একটি মেসে থেকে রাইড শেয়ারিংয়ে মোটরসাইকেল চালান। ইলিয়াস দুই সন্তানের জনক। তার স্ত্রী ও সন্তান গ্রামের বাড়িতে থাকে।
এরআগে, গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বাড্ডায় রাইড শেয়ারিংয়ের আরেক চালক ট্রাফিক পুলিশের হয়রানির প্রতিবাদ জানাতে নিজের মোটরসাইকেলে আগুন দেন। এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়ে সামাজিক মাধ্যমে।
ফেসবুকে ক্ষোভ জানিয়ে মোঃ মিজানুর রহমান লিখেছেন, ‘‘পুলিশের কাজ কি শুধু বাইক ধরা আর মামলা দেওয়া? রাস্তায় এতো এতো ফিটনেস বিহীন বাস ট্রাক চলাচল করে কই তাদের তো জীবনেও মামলা দিলেন না।কথায় আছে জোর যার মুল্লুক তার... বাহ বাহ বাহ বাহ..।’’
জুয়েল রানা লিখেছেন, ‘‘রাঘব বোয়ালের কিছুই হয়না। বাইক নিয়ে কত পেরেশানি পোহাতে হয় তা বাইকার রাই জানে। যে সমস্ত নীতিমালা দেওয়া তা মেনে সবসময় গাড়ি চালানো সম্ভব না। যেকোনো এক্সকিউজেই মামলা দিয়ে দেয়।আর টাকার পরিমাণ এতো যা পরিশোধ করা কষ্টকর।
তাও মেনে নিতাম টুকটাক কারণে জরিমানা করা হলে যদি অন্য গাড়ির ক্ষেত্রেও এসব করা হতো।লক্কড় ঝক্কড় বাস যখন চলে তখন নিয়ম কই থাকে?’’
আশরাফুজ্জামান সেলিম লিখেছেন, ‘‘সবাই বলছে,, নতুন বাইকের লোভে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। একটা বাইকে ৪/৫ হাজার টাকা জরিমানা এই সংকটে কতটা ভয়াবহ, নিজের ঘাড়ে হলে বুঝতেন। আর জনগণের টাকায় চলা আমলারা দিন দিন এভাবেই জনগণকে আখের মতো চিবুচ্ছে। একবার আমলাদের পাল্লায় পড়ে দেখুন, রস কিভাবে বের করে। এদেশের বাস্তব বড় কঠিন।’’
উকিল কবির লিখেছেন, ‘‘একটা মোটরসাইকেলে 4000 টাকা জরিমানা টুমাচ, সারাদিন বাইক চালিয়ে কত টাকা রোজগার করেন একজন বাইকার? শুনে খুব খারাপ লাগলো।’’
শাহজাহান বিক্রম লিখেছেন, ‘‘এই ব্যক্তি প্রকাশে রাস্তায় বাইকে আগুন দিয়ে অন্যায় করেছে। অন্যায়ভাবে বাইক চালাবে তাকে মামলাতো দিবেই পুলিশ। এখন তার বিরুদ্ধেই মামলা হওয়া উচিত। উনি কি ভেবেছে ঐ লোকের মতো তাকেও কেউ বাইক উপহার দিবে?’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।