গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই লক্ষ্যমাত্রার অন্তত ৫০ ভাগ মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। আজ বুধবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সংগঠন ইউএইচএফপিও আয়োজিত দেশের স্বাস্থ্যসেবা ও উন্নয়ন শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের স্বাস্থ্যখাত ইতোমধ্যেই প্রায় ৬ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে সক্ষম হয়েছে। যেভাবে সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশে ভ্যাকসিন আসছে তাতে এ বছর ডিসেম্বরের মধ্যেই লক্ষ্যমাত্রার অন্তত পঞ্চাশ ভাগ মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে।
নানা উৎস থেকে দ্রুত টিকা পাওয়া প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ নিজে এই মুহূর্তে কোনো ভ্যাকসিন উৎপাদন না করলেও দেশে এখন পৃথিবীর উৎপাদিত প্রায় সব ধরনের ভ্যাকসিনই চলে এসেছে। এটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও আন্তর্জাতিক মহলে সম্পর্কের কারণে। প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে কথা দিয়েছিলেন দেশের সব মানুষকে তিনি ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসবেন। তিনি তার কথা অনুযায়ীই আমাদেরকে নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরাও প্রধানমন্ত্রীর কথা অনুযায়ী দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি।
দেশের ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী স্কুলগামী শিশুদেরকেও ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে এবং ক্রমান্বয়ে দেশের সব মানুষই ভ্যাকসিন পাবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এখন থেকে প্রতি মাসে দেশে অন্তত ৩ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন আসবে উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, চীনের সিনোফার্মের ভ্যাকসিন চুক্তি অনুযায়ীই চলে আসছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাধ্যমে চুক্তি অনুযায়ী আরও ভ্যাকসিন আসা শুরু হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের ভ্যাকসিনও চলে আসছে। কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটিজের আওতায় ফাইজার, মডার্না ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনও দেশে আসছে। আমরা ইতোমধ্যে প্রমাণ করেছি স্বাস্থ্যখাত চাইলে একদিনে ৮০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিনও দেওয়া সম্ভব। কাজেই চাহিদা অনুযায়ী এখন থেকে দেশে প্রতি মাসে ৩ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন চলে এলে আমরা সেগুলো ভালোভাবেই মানুষকে দিতে সক্ষম হবো।
দেশের স্বাস্থ্যখাত নিয়ে জাতীয় সংসদসহ নানা জায়গায় সরকারের বিরোধীপক্ষের সমালোচনা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের স্বাস্থ্যখাত গত দুইবছর ধরে টানা ডেঙ্গু মোকাবিলা করাসহ করোনার দুইটি ঢেউ অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করে বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। ব্লুমবার্গ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ সম্প্রতি জাপানের নিপ্পন পরিচালিত জরিপে করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বের ২৬তম স্থান অর্জন করেছে। একটি অতি ঘনবসতি দেশের জন্য এটি ছোটখাটো অর্জন নয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।