Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ নোঙ্গর করাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত আন্তর্জাতিক অঙ্গন

প্রকাশের সময় : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : দক্ষিণ চীন সাগরের ছোট কয়েকটি দ্বীপের মালিকানা নিয়ে চীনের সাথে দীর্ঘদিন ধরেই দ্বন্দ্ব চলে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের। বিতর্কিত ওই সাগরটিতে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ নোঙ্গর করাকে কেন্দ্র করে প্রায়ই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আন্তর্জাতিক অঙ্গন। সেই দক্ষিণ চীন সাগর সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য এবার চীনকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ছোট ছোট প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে চীনের তর্জন-গর্জন বন্ধ করা উচিত বলে মনে করছেন তিনি। গত বুধবার সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ ইস্ট এশিয়ান নেশনসের (আশিয়ান) নেতাদের সাথে বৈঠকের জন্য তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ওবামা। আর এ বৈঠকেই তিনি চীনকে এ হুঁশিয়ারি জানাবেন।
অপর এক প্রতিবেদনে জানা যায়, দক্ষিণ চীন সাগরে যৌথ টহলদারি শুরু করতে যাচ্ছে ভারত ও মার্কিন নৌসেনারা। আর এই খবরে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এশিয়া মহাদেশের বিশাল জলসীমায়। দক্ষিণ চীন সাগরকে নিজেদের এলাকা বলে দাবি করা চীন মোটেই খুশি হতে পারেনি এই যৌথ টলহদারির খবরে। তবে চীনের আশার কথা হলো, ভারতীয় নৌসেনারা যৌথ টহলদারির পরিকল্পনার কথা এখনও সরকারিভাবে স্বীকার করেনি। বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সামরিক সমঝোতা গত এক দশকে অনেক বেড়েছে। ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বে এক সময় খোলাখুলিভাবে পাকিস্তানের পক্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্র মেরু বদলে এখন ভারতের পাশে। এর আগে পাকিস্তানকে গোটা বিশ্বের সন্ত্রাসবাদীদের ভবিষ্যৎ রাজধানী বলে মন্তব্য করেছিলেন বারাক ওবামা।
খবরে বলা হয়, দক্ষিণ চীন সাগরকে নিজেদের এলাকা বলে দাবি করে আসা চীন ভারত-মার্কিন যৌথ টলহদারির খবরে আরও ক্ষুব্ধ হবে এবং ওই এলাকায় দু’দেশের এ নৌ-টহল শুরু হলে চীনের উদ্বেগ আরও বহুগুণ বাড়বে। গত কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত নিজেদের মধ্যে সামরিক সম্পর্ক জোরদার করেছে। গত বছর ভারত মহাসাগরে তারা যৌথভাবে নৌ-মহড়াও দিয়েছে। ওই মহড়ায় জাপানের নৌবাহিনীও অংশ নিয়েছে। কিন্তু ভারত এর আগে কখনও অন্য কোনো দেশের সঙ্গে যৌথভাবে নৌ-টহল দেয়নি। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী গত ডিসেম্বরেই যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর প্যাসিফিক কমান্ডের পরিকাঠামো পরিদর্শনে গিয়ে ভারত মহাসাগর ও দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন-ভারত যৌথ টহল শুরু নিয়ে আলোচনা করেন বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। তাছাড়া, ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে দু’দেশের নৌবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। আল-জাজিরা, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ নোঙ্গর করাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত আন্তর্জাতিক অঙ্গন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ