বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্থায়ী হিসেবে শপথ নিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের ৯ জন বিচারপতি। মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে তাদের শপথবাক্য পাঠ করান। এরমধ্যে বিচারপতি জাহিদ সারওয়ার কাজল এর বাড়ী চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নে।
শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর।
জাহিদ সারওয়ার কাজল ২০০৮-০৯ সালে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সহ-সম্পাদক ছিলেন। বাংলাদেশের ডেপুটি এটর্নি জেনারেল হিসাবে ২০০৯ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি নিয়োজিত হয়ে ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর পর্যন্ত এ পদে থেকে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি বিশ্বের সর্ববৃহত্তম মামলা ‘পিলখানা হত্যা মামলা’ নামে পরিচিত মামলার (হাইকোর্টের) ডেপুটি এটর্নি জেনারেল হিসাবে রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে পরিচালনা করেন। দেশের আলোচিত নারায়ণগঞ্জের ৭ খুন মামলাতেও তিনি ডেপুর্টি এটর্নি জেনারেল হিসেবে রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে মামলা পরিচালনা করেন। এছাড়া তিনি ডেপুটি এটর্নি জেনারেল হিসেবে রাষ্ট্রপক্ষের অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলা পরিচালনা করেন।
কেএম জাহিদ সারওয়ার কাজল ১৯৯৩ সালে এলএলবি (অনার্স) ও ১৯৯৪ সালে আইন বিভাগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করেন। তিনি ১৯৯৫ সালের ১২ অক্টোবর আইনজীবী হিসেবে বার কাউন্সিলের তালিকাভুক্ত হন। ১৯৯৭ সালের ৩০ অক্টোবর বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ২০১৮ সালের ২৯ মার্চ বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসাবে তালিকাভুক্ত হন।
কেএম জাহিদ সারওয়ার কাজলের গ্রামের বাড়ি মতলব উত্তর উপজেলার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের উত্তর রামপুর গ্রামে। তার বাবা মরহুম এমজি সারওয়ার হোসেন বাবু মিয়া এবং দাদা মরহুম খান বাহাদুর গোলাম হোসেন লালু মাস্টার।
কেএম জাহিদ সারওয়ার কাজলের এমজি সারওয়ার হোসেন বাবু মিয়া সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী ছিলেন, কিন্তু প্রাকটিস করতেন জজকোর্টে। আইনজীবী হিসাবে তিনি জীবন শুরু করেন ১৯৭৮ সালে। দীর্ঘ ৩৭ বছর সুনামের সাথে মানুষকে আইনি সেবা দেয়া অবস্থায় ২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল তিনি ইন্তেকাল করেন।
সদ্য নিয়োগ পাওয়া ৯ বিচারপতি হলেন- বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলাম, বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন, বিচারপতি মো. জাকির হোসেন, বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান, বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদার, বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেন, বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার, বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হক ও বিচারপতি কাজী জিনাত হক।
এই নয় বিচারপতি অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে দুই বছর আগে নিয়োগ পেয়েছিলেন। সোমবার (১৮ অক্টোবর) রাষ্ট্রপতির আদেশে তাদের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়। শপথের দিন থেকে তাদের এই নিয়োগ কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।
২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট জাজেস লাউঞ্জে তাদের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে শপথবাক্য পাঠ করিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।