নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
হোয়াইটওয়াশ এড়াতে পরশু কেপটাউনে ঘুরে দাঁড়াতে হতো অস্ট্রেলিয়ার। কিন্তু তেমন কাউকে পাওয়া গেল না, এক ডেভিড ওয়ার্নার ছাড়া। বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যানের ১৭৩ রানের দানবীয় ইনিংসের পরও দক্ষিণ আফ্রিকার দেয়া ৩২৮ রানের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি অজিরা। ৩১ রানে হেরে তাই পুড়তে হলো নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ধবল ধোলাইয়ের লজ্জায়।
ওপেনিংয়ে নামা ওয়ার্নার অসহায় চাহনিকে দেখেছেন অপর প্রান্ত থেকে একে একে আট সতীর্থকে ফিরে যেতে। ৪৭ ওভার পর্যন্ত দলের একমাত্র ভরসার প্রতীক হয়ে ছিলেন তিনিই। কিন্তু পরের ওভারের প্রথম বলে দুই রান নিতে গিয়ে তাহিরের হাতে রান আউটের শিকার হলে অজিদের আশার বেলুন ফুটো হয়ে যায়। তার ১৩৬ বলের ইনিংসে কোনো ছয়ের মার ছিল না, ছিল ১৪টি চারের মার। তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসটি (১৭৯) তখন মাত্র ৬ রান দূরে। এর পরের ওভারেই ২৯৬ রানে অজি ইনিংসের যবনিকা ঘটে। এই দীর্ঘ পথে শুধুমাত্র মিচেল মার্শ ও ট্রেইভ হেডকে কিছু সময় পাশে পেয়েছিলেন ওয়ার্নার। দুজনেই ফেরেন ব্যক্তিগত ৩৫ রান করে। বাকিদের মধ্যে দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছিলেন কেবল অ্যারোন ফিঞ্চ (৪০ বলে ১৯)। ফিঞ্চকে নিয়ে ৭২ রানের দুর্দান্ত সুচনাটাও ছিল বেশ। আঘাতটা আসে এরপরই, এটি ছিল ইনিংসের সবচেয়ে বড় আঘাতও। এক বলের ব্যবধানে ফিঞ্চ ও অধিনায়ক স্মিথকে সরাসরি বোল্ড করে ফেরান ইমরান তাহির। রানের খাতায় ২ রান যোগ হতেই একই শিকার হয়ে ফেরেন জর্জ বেইলিও। এবারের হন্তারক ছিলেন অ্যান্ডি ফেলুকওয়াইয়ো। এই ধকল আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি সফলকারীরা। এছাড়া ২টি করে উইকেট নেন কাইল অ্যাবোট ও কাসিগো রাবাদা।
এর আগে নিউল্যান্ডেসে টস জিতে ব্যাট বেছে নিয়ে ৫২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়েছিল প্রটিয়ারা। কিন্তু জেপি ডুমিনিকে নিয়ে ১৭৮ রানের জুটি গড়েন সিরিজ সেরা রাইলি রুশো। ডুমিনি (৭৫ বলে ৭৩ রান) ফেরার পর মিলারের সাথে আরেক পঞ্চাশোর্ধ জুটি উপহার দিয়ে ১১৮ বলে ১২২ রান করে ফেরেন রুশো। তার ইনিংসে ছিল ১৪টি চার ও দুটি ছ’য়ের মার। তাতেই ৮ উইকেটে ৩২৭ রানের বড় পুঁজি পায় ফাফ ডু প্লেসিস বাহিনী। ক্রিস ট্রেমেইন ও জো মেনি নেন ৩টি করে উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দক্ষিণ আফ্রিকা : ৫০ ওভারে ৩২৭/৮ (রুশো ১২২, ডুমিনি ৭৩, মিলার ৩৯; মেনি ৩/৪৯, ট্রেমেইন ৩/৬৪, বোল্যান্ড ২/৬৮)।
অস্ট্রেলিয়া : ৪৮.২ ওভারে ২৯৬ (ওয়ার্নার ১৭৩, মার্শ ৩৫, হেড ৩৫; ইমরান ২/৪২, অ্যাবট ২/৪৮, রাবাদা ২/৮৪)।
ফল : দক্ষিণ আফ্রিকা ৩১ রানে জয়ী।
সিরিজ : ৫-০ ব্যবধানে দক্ষিণ আফ্রিকা জয়ী।
ম্যাচ সেরা : ডেভিড ওয়ার্নার (অস্ট্রেলিয়া)।
সিরিজ সেরা : রাইলি রুশো (দক্ষিণ আফ্রিকা)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।