পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের বর্তমান সংবিধান গণতন্ত্র চর্চার সাথে সাংঘর্ষিক বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি। তিনি বলেছেন, সরকারের একজন প্রতিমন্ত্রী এরশাদকে কটুক্তি করে এবং রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম পরিবর্তন করার ঘোষণা দিয়ে গর্হিত কাজ করেছেন। এজন্য তাকে ক্ষমা চাইতে হবে। তিনি বলেন, প্রতিমন্ত্রী সংবিধান সংরক্ষণের শপথ ভঙ্গ করেছেন। এরশাদ এবং দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে নিয়ে কটুক্তি করেছেন। গতকাল বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে গাজীপুর মহানগর ও অঙ্গ এবং সহযোগি সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
জিএম কাদের বলেন, ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনী করেছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার। তাতেও রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সমুন্নত আছে। তাই কটুক্তি করে ঐ প্রতিমন্ত্রী আওয়ামী লীগের দলীয় শৃঙ্খলাও ভঙ্গ করেছেন। ক্ষমা না চাইলে দেশের মানুষ একদিন এর বিচার করবে। তিনি বলেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ঘোষণার সাথে সকল ধর্মের অধিকার সাংবিধানিকভাবেই নিশ্চিত করেছিলেন এরশাদ। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম পরিবর্তন করার সাহস আর ক্ষমতা কারো নেই।
এসময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান আরো বলেন, বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী গণতান্ত্রিক চর্চা সম্ভব নয়। বর্তমান সংবিধান গণতান্ত্রিক চর্চার সাথে সাংঘর্ষিক। গণতন্ত্র চর্চা করতে হলে সংবিধানের অনেক ধারা সংশোধণ করতে হবে। সংবিধানের ৭০ ধারার কারণে সরকার দলীয় কোন সংসদ সদস্য সরকারের কোন সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করতে পারেনা। এতে এক ব্যক্তির হাতে সকল ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হয়েছে। দেশের নির্বাহী বিভাগ, আইন সভা ও প্রেসিডেন্টের মাধ্যমে বিচার বিভাগের প্রায় ৯০ ভাগই সরকার প্রধানের নিয়ন্ত্রণে। তাই সরকার প্রধান যা চাইবেন, তার বাইরে কিছুই সম্ভব নয়।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে সংবিধান অনুযায়ী আইন করতে হবে। আইন না করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হচ্ছে, ফুটবল খেলায় একটি দলের পক্ষ থেকে রেফারী নিয়োগ দেয়ার মত। আইন করে, উপযুক্ত ব্যক্তিদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করে সংবিধান অনুযায়ী সকল ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনকে দিতে হবে।
জিএম কাদের বলেন, ইসিতে নিবন্ধিত প্রায় ৪০টি দলের মধ্যে মাত্র আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং জাতীয় পার্টি সক্রিয় আছে। বাকি দলগুলো সাইনবোর্ড বা নেতা সর্বস্ব রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। বিএনপি নেত্রী মুচলেকা দিয়ে জেল থেকে বের হয়ে রাজনীতির মাঠে নেই। আবার তাদের আরেক নেতা দন্ডপ্রাপ্ত হয়ে বিদেশে অবস্থান করছেন। বাকী নেতাদের মধ্যে বিভেদ ও বিভাজনের অভাব নেই। আবার আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালনা ও উন্নয়ন কর্মকান্ডে ব্যস্ত। রাজনীতির মাঠেও আওয়ামী লীগ নেই বললেই চলে। কিন্তু গণমানুষের দাবি আদায়ে রাজনীতিতে সোচ্চার আছে শুধু জাতীয় পার্টি। ৩১ বছর রাষ্ট্র ক্ষমতার বাইরে থেকেও জাতীয় পার্টি রাজনীতিতে টিকে আছে। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মকান্ডে রাজনীতি নিয়ে হতাশাগ্রস্থ। দেশের মানুষ আগামী দিনে জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্র পরিচালনায় দেখতে চায়।
এসময় জাতীয় পার্টি মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেন, দেশের কোটি কোটি বেকারদের জন্য কারো মাথা ব্যাথা নেই। আওয়ামী লীগের উন্নয়নের ধাক্কায় মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, এডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, মীর আব্দুস সবুর আসুদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা এমএম নিয়াজ উদ্দিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।