পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,সরকারের এজেন্টরাই দেশে দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করেছে। তাদের এজেন্ট দিয়েই ঘটনা ঘটাবার জন্য কুমিল্লার কাজটি করেছে। ওইটার সূত্র ধরে চাঁদপুর, নোয়াখালী আর চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করেছে। গণ আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকারকে সরে যেতে বাধ্য করা হবে বলেও হুঁশিয়ারী দেন তিনি।
তিনি গতকাল শনিবার নগরীর কাজীর দেউরীস্থ এপোলো শপিং সেন্টারের টাইম স্কয়ার কমিউনিটি সেন্টারে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের পরিচালনায় কর্মীসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম। মির্জা ফখরুল বলেন, বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিদেশে। বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ এমনকি ইউনিয়নের কর্মীদের পর্যন্ত লাখ লাখ মামলার আসামী করা হয়েছে। ৩৫ লাখ আসামী করা হয়েছে এক লাখ মামলায়। ৫০০ জনকে খুন, গুম করা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ফ্যাসীবাদ সরকারকে আমরা সরাতে পারিনি। আমরা গভীর সংকট পার করছি। বিগত কয়েক বছর দেশে গণতন্ত্র নেই। কথা বলার অধিকার, সভা, সমাবেশের অধিকার নেই। গ্রেফতার করে মাসের পর মাস, বছরের পর বছর জেলে রাখছে। এই সরকার মুখে গণতন্ত্র বলে কিন্তু গণতন্ত্র তারা মানে না। পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্রের মোড়কে একদলীয় শাসন কয়েম করছে। জনগনের সাথে প্রতারণা করছে।
তিনি বলেন, আমরা খুব দ্রæত কাজ করছি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দিনরাত কাজ করছেন। দলকে দ্রæত সংগঠিত করে, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন শুরু করে একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই দানবীয় সরকার, আওয়ামী লীগের সরকার, শেখ হাসিনার সরকারকে সরে যেতে বাধ্য করা হবে। তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, চট্টগ্রামে এসে দেখলাম এখানে অনেক ফ্লাইওভার করেছে। পাকা ড্রেন করেছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের জন্য কি করেছে? সাধারণ মানুষের জন্য তারা কিছু দেখে না। দেড় বছরে লকডাউন লকডাউন খেলা করে সরকার মানুষের জীবিকা অর্জনের পথ রুদ্ধ করে দিয়েছে। যারা হকারি করতেন, স্বল্প পুঁজি নিয়ে ব্যবসা করতেন, তারা নিঃস্ব হয়ে গেছে। গরীব মানুষকে আড়াই হাজার টাকা করে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে, সেই টাকা পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নেতারা লুট করে খেয়ে ফেলেছে।
তিনি বলেন, আমরা সবসময় এই বাংলাদেশে সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি রক্ষা করি। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান যারা আছেন তাদের পাশে আমরা ভাইয়ের মতো দাঁড়াই সবসময়।
বাবরি মসজিদের ঘটনা আপনারা জানেন। তখন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। আমরা এভাবে ব্যবস্থা নিয়েছিলাম,আমাদের সফল অর্জন সেদিন বাংলাদেশের কোথাও কোনো ঘটনা ঘটতে দিইনি। আর এরা কি করেছে ? এই হাছান মাহমুদ বারবার করে বলছেন, এর পেছনে নাকি বিএনপি আছে। এই ঘটনা ঘটাচ্ছেন আপনারা। এসব ঘটনা যদি না ঘটান তাহলে জনগণ তার অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন করবে। জনগণের আন্দোলনকে ডাইভার্ট করার জন্য আপনারা এটা করছেন। এটা করতে না পারলে আপনাদের সমস্যা। পরিস্কার করে বলতে চাই, এখানে বিরোধী রাজনীতির কোনো সুযোগ রাখা হচ্ছে না। আমাদের মিটিং করতে দেয় না। মিটিং করতে গেলে পুলিশ মারে, মিথ্যা মামলা দিয়ে পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এবারও পুলিশ মিথ্যা মামলা দেওয়া শুরু করেছে। চৌমুহনীর ঘটনায় আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ-র্যাবের সামনে সন্ত্রাসীরা ভাংচুর করল আর আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে।# র ই সেলিম ১৬/১০/২০২১ইং
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।