গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
দেশে সম্প্রীতিসুন্দর পরিবেশ রক্ষায় স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সকল জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, যারা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চায় ,তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) রাজধানীর মিন্টু রোডে সরকারি বাসভবনে সম্প্রতি কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে সৃষ্ট ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনসহ জনপ্রতিনিধিত্বশীল প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা জাতির দুঃসময়ে, দুর্দিনে, বিপদে-আপদে সবার আগে মানুষের পাশে দাঁড়ায়। আমাদের দেশে ধর্ম-বর্ণের সব মানুষ মিলে মিশে বসবাস করে। এ দেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য দৃষ্টান্ত। সেই সম্প্রীতি নষ্ট করতে ও দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলার জন্য জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক থাকতে হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কুমিল্লার ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো দুর্বলতা থাকলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবেন।
সম্প্রতি কুমিল্লার পূজামণ্ডপে সৃষ্ট ঘটনাকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং ষড়যন্ত্রের একটি অংশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মো. তাজুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী শত্রুরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার জন্য বিভিন্ন সময় ষড়যন্ত্র করেছে এবং এখনও করে যাচ্ছে। তাদের আন্দোলনে মানুষের সাড়া পায় না বলেই দেশকে অস্থিতিশীল করতে ধর্মীয় অনুভূতি কাজে লাগিয়ে ইন্ধনের চেষ্টা করছে। শুধু দেশে নয় দেশের বাইরেও ষড়যন্ত্র হচ্ছে উল্লেখ তিনি ষড়যন্ত্রকারীদের কঠোরভাবে দমন করতে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা দরিদ্র দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে উন্নত দেশের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি, তখন একটি স্বার্থন্বেষী মহল এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে। যারা এসব ঘটাচ্ছে তারা দেশ ও জাতির শত্রু। তারা কখনোই দেশের উন্নয়ন চায় না। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, সকল ধর্মের মানুষদের সহবস্থানে থাকার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন করেছেন। মুসলিম প্রধান দেশ হলেও বঙ্গবন্ধু সব ধর্মের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করেছেন। মানুষ যে ধর্মের হোক না কেন, সে যেন রাষ্ট্রীয় অভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারে এই নীতিমালা বাস্তবায়ন করে গেছেন। তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা সেই নীতি বাস্তবায়ন করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।