Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিলেটবাসীর জন্য বরাদ্ধ দিবে, ‘বিউটিফিকেশন অব ধোপাদিঘি’ উদ্বোধনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১১ জুন, ২০২২, ৪:৩৮ পিএম

সিলেটের উন্নয়নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন খুবই আন্তরিক, তিনিই খুবই চমৎকার মানুষ উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, এই সিলেটের সার্বিক উন্নয়নে মোমেন সাব খুবই আন্তরিক। তাঁর ভাই (প্রয়াত আবুল মাল আব্দুল মুহিত) যেভাবে একজন আলোকিত মানুষ ছিলেন। দেশের গর্ব ছিলেন, ঠিক তেমনভাবে মোমেন সাহেবও একজন গুণী মানুষ। এছাড়া ‘সিলেট আমাকে আকৃষ্ট করে। আমার ক্ষমতা অনুযায়ী সিলেটবাসীর জন্য বরাদ্ধ দিবো।’ আজ শনিবার (১১ জুন) সকালে নগরের ধোপাদিঘিপাড়ে ‘বিউটিফিকেশন অব ধোপাদিঘি’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। তিনি আরোও বলেন, ‘সিলেট সিটি করপোরেশনের বর্ধিত এলাকার উন্নয়নের জন্য দেওয়া হবে একটা বরাদ্ধ। এ বিষয়ে আমি মেয়র আরিফুল হক ও মন্ত্রী মোমেন এর সঙ্গে কথা বলবো। এছাড়াও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তাঘাট মেরামতে নেওয়া হবে দ্রুত উদ্যোগ।’

বিশেষ অথিতির বক্তব্যে বিশেষ অতিথি হিসেবে সিলেট -১ আসনের এমপি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, আমার বাড়ি ধোপাদীঘির। এই দীঘি অনেক বড় ছিলো। মুঘল সম্রাট আমলে এটা ধোপার কাজে ব্যবহার হতো। আজ এই দিঘীতে ওয়াকওয়ে নির্মাণ হয়েছে। আমরা এখন থেকে এখানে হাটবো। এতে খুই আনন্দিত আমি। সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাক জাকির হোসেন প্রমুখ।

ইতিহাস মতে, একসময় সিলেট পুরনো কারাগারের পাশের দীঘিটিতে স্থানীয় ধোপারা ধৌত করতেন কাপড়। এ থেকেই দীঘিটির নাম ধোপাদিঘী আর এলাকার নাম হয় ধোপাদিঘীর পাড়। একপর্যায়ে দীঘির পাড় দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করেন প্রভাবশালীরা। নগরীর ভেতরের গুরুত্বপূর্ণ এই দীঘিটি সংরক্ষণ ও সৌন্দর্য্যবর্ধনের লক্ষ্যে ভারত সরকারের অর্থায়নে ‘বিউটিফিকেশন অব ধোপাদিঘী’ প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালে। প্রকল্পের অধীনে দিঘী খনন, চারপাশে দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে নির্মাণ, রেলিং ও লাইটপোস্ট বসানোর নেয়া হয় উদ্যোগ। প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে ২০১৮ সালের শেষদিকে ধোপাদীঘি দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালায় সিটি করপোরেশন। ২০২০ সালের জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারনে দেখা দেয় কাজে ধীরগতি। ২০২০ সালের ফেব্রয়ারিতে পুরোদমে শুরু হয় প্রকল্পের কাজ। প্রকল্পে ভারত অর্থায়ন কওে সরকার ২১ কোটি ৮৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ