মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বৃহস্পতিবার পাকিস্তানকে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের হুমকি দিয়েছেন। তার এই হুমকির জবাব দিয়েছে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতর (এফও)। তারা অমিত শাহের এই হুমকিকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং উস্কানিমূলক’ বলে নিন্দা জানিয়েছে।
এফও মুখপাত্র অসীম ইফতিখার আহমদ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এই বিভ্রান্তিকর বিবৃতি কেবল পাকিস্তানের প্রতি শত্রুতার উপর ভিত্তি করে আদর্শিক কারণ এবং রাজনৈতিক সুবিধার জন্য করা হয়েছে। এটি আঞ্চলিক উত্তেজনা সৃষ্টির জন্য বিজেপি-আরএসএস জোটের প্রবণতাকে আরও প্রমান করে।’
এর আগে ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অমিত শাহ বলেছিলেন যে, পাকিস্তান যদি ‘সীমা লঙ্ঘন করে’ তাহলে, ভারত তার বিরুদ্ধে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালাবে। তিনি আরও বলেন, আলোচনার সময় শেষ হয়ে গেছে এবং এখন ‘প্রতিদান’ দেয়ার সময় এসেছে। হিন্দুস্তান টাইমসের মতে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, আগে ভারত সীমান্তে হামলা হলে আলোচনা হতো, কিন্তু এখন দিল্লি সন্ত্রাসী হামলার উপযুক্ত জবাব দেয়।
২০১৬ সালে ভারত যে কথিত সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছিল, তার উল্লেখ করে শাহ এই মন্তব্য করেছিলেন। তবে পাকিস্তানের সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছিলো। প্রতিবেদনে শাহের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিকারের অধীনে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল। আমরা একটি বার্তা দিয়েছিলাম যে, কেউ ভারতের সীমান্তে বিঘ্ন ঘটাতে পারে না। আলোচনার একটা সময় ছিল, কিন্তু এখন সময় এসেছে প্রতিদান দেয়ার।’ ইন্ডিয়া টুডের মতে, গোয়ার ধরবন্দোরাতে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় অমিত শাহ আরও বলেছিলেন, ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক প্রমাণ করেছে যে আমরা হামলা সহ্য করি না। আপনি যদি সীমা লঙ্ঘন করেন তবে আরও কিছু আসবে।’
ভারতীয় মন্ত্রীর দাবির জবাবে পাকিস্তানের এফও মুখপাত্র বলেন, এই ধরনের বক্তব্য ভারতের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস এবং অধিকৃত কাশ্মীরসহ ভারতে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে নিয়মতান্ত্রিক মানবাধিকার লঙ্ঘন থেকে বিশ্বব্যাপী মনোযোগ সরানোর জন্য ধোঁয়াশা পর্দা হিসেবে কাজ করে। তিনি জানান, পাকিস্তান এবং কাশ্মীরিদের জড়িত করার জন্য ‘মিথ্যা পতাকা’ অপারেশন পরিচালনার কথা বলা ভারতের জঘন্য নকশার দিকে পাকিস্তান বারবার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
এফও মুখপাত্র যোগ করেছেন, ‘যদিও পাকিস্তান একটি শান্তিপ্রিয় দেশ, আমরা কোনো আক্রমণাত্মক নকশাকে দৃঢ়ভাবে ব্যর্থ করতে কোন প্রচেষ্টা ছাড়ব না।’ তিনি বলেন, ২০১৯ সালে ভারতের বালাকোট দুর্ঘটনার জন্য পাকিস্তানের দ্রুত প্রতিক্রিয়া - ভারতীয় যুদ্ধ বিমানের পতন এবং ভারতীয় বিমান বাহিনীর একজন পাইলটকে আটক করা - ভারতীয় আগ্রাসন রোধ করার জন্য আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর ইচ্ছা, ক্ষমতা এবং প্রস্তুতি সম্পূর্ণরূপে প্রদর্শন করেছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে, আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা জুড়ে ভারতীয় সেনাদের গুলিতে কমপক্ষে দুই পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়। ভারতীয় কর্মকর্তারা দাবি করেছিলেন যে, ভারতীয় সেনাবাহিনী ‘এলওসি বরাবর সন্ত্রাসী লঞ্চ প্যাডে’ সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছে। যাইহোক, পাকিস্তান সেনাবাহিনী এই দাবিগুলো বাতিল করে দিয়েছে এবং এটিকে ‘বানোয়াট ও মিথ্যা’ বলে অভিহিত করেছে। একইভাবে, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সালে, ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযান চালানোর চেষ্টা করেছিল কিন্তু ব্যর্থ হয়েছিল এবং তার দুটি বিমান পাকিস্তান বিমান বাহিনী গুলি করে ভূপাতিত করেছিল। ভারতীয় পাইলট উইং কমান্ডার অভিনন্দন, যার বিমানটি পাকিস্তানি ভূখণ্ডের ভেতরে ভেঙে পড়েছিল, তাকেও বন্দী করা হয়েছিল। কিন্তু পরে শান্তির ইঙ্গিত হিসেবে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তাকে ছেড়ে দেন। সূত্র: ডন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।