গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হল ট্র্যাজেডির ৩৬ বছর আজ। ১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবর দিবাগত রাতে হলের টিভি কক্ষের ছাদ ধসে ৩৯ জন শিক্ষার্থী, কর্মচারী ও অতিথির করুণ মৃত্যু হয়। এরপর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিহতদের স্মরণে দিনটিকে শোক দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।
দিবসটি উপলক্ষে নিহতদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে প্রতিবছর বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল ও প্রধান প্রধান ভবনে কালো পতাকা উত্তোলন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা অর্ধনমিত রাখা ও কালো ব্যাজ ধারণ, শোক মিছিল, পুষ্পস্তবক অর্পণ।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, জগন্নাথ হল এলাকায় যেখানে ‘অক্টোবর স্মৃতিভবন’ দাঁড়িয়ে আছে, সেখানে ১৯৪৭ সালে পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদের অধিবেশন বসতো। একে ‘পরিষদ ভবন’ বা অ্যাসেম্বলি হল বলা হতো। এ ভবনটি ১৯৬৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভবনটিকে ছাত্রদের আবাসিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে জগন্নাথ হলের সঙ্গে যুক্ত করে।
একাত্তরের শহীদ আবাসিক শিক্ষক অনুদ্বৈপায়ন ভট্টাচার্যের নামে এ পরিষদ ভবন বা অ্যাসেম্বলি হলের নামকরণ করা হয় ‘অনুদ্বৈপায়ন ভবন’। প্রায় ১৫০ বছরের পুরোনো এই ভবনটিকে আগেই বসবাসের অযোগ্য বলে ঘোষণা করা হয়েছিল।
ব্রিটিশ শাসনামলে চুন, সুরকি, লোহার রডের বিম দিয়ে তৈরি এ ভবন ছিল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তারপরও কর্তৃপক্ষ ছাত্রদের বিনোদন ব্যবস্থা হিসেবে এখানেই একটি বড় রঙিন টেলিভিশন স্থাপন করে।
১৫ অক্টোবর দিনটি ছিল দুর্যোগপূর্ণ। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে মুষলধারে বৃষ্টি হয় এবং রাজধানী ঢাকার ওপর দিয়ে প্রায় ১০০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়াসহ ঝড় বয়ে যায়। সারাদিন ধরেই ছিল টিপটিপ বৃষ্টি। আর এ জন্যই পলেস্তারা নরম হয়ে ধসে পড়ে ছাদটি। এরপরই মর্মান্তিক দৃশ্যের সম্মুখীন হয় বিশ্ববাসী। প্রাণ হারায় ৩৯ জন ছাত্র, কর্মচারী ও অতিথি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।