Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাংলাদেশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ

নভেম্বরে আরো টিকা পাঠাবে জাপান

কূটনৈতিক সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৫ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০৫ এএম

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক উন্নয়নের উচ্চকিত প্রশংসা করছেন ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিক্যাব টকে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে ৩০০ জাপানি কোম্পানি কাজ করছে। করোনার মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি প্রশংসনীয়। সব অর্জন হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সবার অবদানে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে চোখে দেখার মতো। মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, মাতারবাড়ি প্রকল্পগুলো বাংলাদেশের চেহারা পাল্টে দেবে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে এগুলো উন্নয়নের নতুন ধাপে নিয়ে যাবে বাংলাদেশকে।

জাপানি রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স এখনও সহজ নয়। টেলিগ্রাফিক ট্রান্সফার এশিয়ার মধ্যে শুধু দুটি দেশে নিষিদ্ধ। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে। বাংলাদেশ বিদেশি কোম্পানিকে আকৃষ্ট করে আরও ইমেজ বাড়াতে হলে কিছু নিয়মকানুনে পরিবর্তন আনতে হবে। তিনি বলেন, জাপান এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের সবচে বড় রপ্তানি বাজার হতে যাচ্ছে। বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশের স্ট্যাটাস অনেক বেড়েছে। এর পেছনে দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং সামাজিক উন্নয়ন বড় ভূমিকা রেখেছে।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশকে ১৫০ মিলিয়ন ডলার সহযোগিতা দিয়েছি। রাখাইন রাজ্যে আমরা ৬৪ মিলিয়ন সহযোগিতা দিয়েছে প্রত্যাবাসন সহজ করতে। মিয়ানমারের পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে, সেটা অনুমান করা যেমন কঠিন, প্রত্যাবাসন দ্রæত হবে এটা আশা করাও কঠিন। আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়কে তাই চাপ অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনায় জাপান সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। এক এক দেশের আলোচনার ধরন একেক রকম। আমরা অনেক পথ, অনেক উপায়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করছি। জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য রাখাইনে সহায়ক পরিবেশ থাকা জরুরি। সেখানে সেনা অভ্যুত্থানের কারণে খুব শিগগির রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কঠিন হয়ে পড়েছে।

নাওকি ইতো আরও বলেন, আগামী নভেম্বরে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে বাংলাদেশকে আরও টিকা পাঠাবে জাপান। গত জুলাই ও আগস্ট মাসে বাংলাদেশকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩০ লাখ টিকা উপহার দিয়েছে জাপান। এ ছাড়া সন্ত্রাসবাদ দমনে সহায়ক নানা ধরনের সামগ্রী জাপান উপহার পাঠাবে বলেও জানান নাওকি ইতো। তিনি বলেন, হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার পর সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশকে নানাভাবে সহযোগিতা দিচ্ছে জাপান। এর অংশ হিসেবে এ বছরের শেষে বা আগামী বছরের শুরুতে এসব সামগ্রী পাঠানো হবে।

দেশে চলমান জাপানি প্রকল্পগুলো নিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, মাতারবাড়ি শুধু বাংলাদেশ নয়, এ অঞ্চলের স্বপ্ন। এটি এ অঞ্চলের অন্যতম একটি পাওয়ার হাব হিসেবে কাজ করবে। বেশির ভাগ বড় প্রকল্পে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা কঠিন হয়ে পড়ে। জাপানের ক্ষেত্রে সম্ভাব্যতা যাচাই করতে বেশি সময় লাগে, কিন্তু এটা সব সময় একটু গুণগত কাজ হয়। প্রকল্পের সময়, বাজেট এবং গুণগতমান রক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাপান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ