গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
শ্লীলতাহানির মামলায় রাজধানীর সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাসের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ইয়াসমিন আরার আদালত এ আদেশ দেন।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর চিত্তরঞ্জন দাস আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত ধার্য তারিখ পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন।
বৃহস্পতিবার ধার্য তারিখে চিত্তরঞ্জন দাস আদালতে হাজির হয়ে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি কাজী নজিব উল্লাহ হিরুর মাধ্যমে জামিন স্থায়ীর আবেদন করেন।
অন্যদিকে বাদী পক্ষে অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান, নিয়াজ মোর্শেদ নোমান জামিন বাতিলের আবেদন করেন। তারা বলেন,‘আসামি জামিন পাওয়ার পর মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকি দিচ্ছেন। সে বিষয়ে থানায় জিডিও হয়েছে।’
শুনানি শেষে আদালত জামিন বাতিল করে চিত্তরঞ্জন দাসকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ করেন।
গত ১১ সেপ্টেম্বর শ্লীলতাহানির একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ওই নারী সবুজবাগ থানায় চিত্তরঞ্জন দাসের রিুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। তিনি নিজেকে একজন গণমাধ্যম কর্মী বলে এজাহারে উল্লেখ করেছেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, সবুজবাগ কালীবাড়ি রাস্তা সংলগ্ন ওই নারীর শ্বশুরের দোকান রয়েছে। তার পাশের চা দোকানদার নিজের দোকান সংস্কার করতে চাইলে কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাস গরীব চা দোকানদারের কাছে ৪০ হাজার টাকা দাবি করেন। চাঁদার ব্যাপারে সত্যতা যাচাই করার জন্য ওই নারী রাত পৌনে ৮টার দিকে চিত্তরঞ্জন দাসকে মোবাইলে ফোন দেন। চিত্তরঞ্জন দাস তাকে রাত ৯ টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে তার রাজারবাগ কালীবাড়ি কার্যালয়ে যেতে বলেন।
রাত পৌনে ১০ টার দিকে ওই নারী স্বামীসহ সেখানে যান। চাঁদার বিষয়ে জানতে চাইলে চিত্তরঞ্জন দাস দুই চারটি কথা বলে তাকে পাশের কক্ষে বসতে বলেন। এর একটু পরে চিত্তরঞ্জন দাস ওই কক্ষে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেন। ওই নারীকে বসা থেকে উঠে দাঁড়ানোর জন্য বলেন। ওই নারী উঠে দাঁড়ালে চিত্তরঞ্জন দাস তাকে জড়িয়ে ধরেন এবং তার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। নানা রকম অঙ্গভঙ্গি করে তাকে কু-প্রস্তাব দেন। মান-সম্মানের ভয়ে ওই নারী কোনো চিৎকার করেন নি বলে এজাহারে উল্লেখ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।