গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ ও মূল্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর শাখা বুধবার সকালে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল করে করে। বিক্ষোভ মিছিল রাজধানীর মিরপুর-১ গোলচত্বর থেকে শুরু হয়ে টেকনিক্যাল মোড়ে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিম বলেন, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিচ্যুতি, সুশাসনের অভাব ও আইনের ভঙ্গুর প্রয়োগের কারণেই বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। সরকারের ভিতরে থাকা এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী, মজুদদার ও বাজার সিন্ডিকেট সার্বিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়েছে। এতে মানুষের জীবন-যাপন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে প্রায় ৬.৮৮%। যা জনজীবনকে রীতিমত বিপর্যস্ত করে তুলেছে।
অথচ সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই জনগণের জন্য তাদের কোন দায়বদ্ধতা নেই। তাই গণমানুষের সকল সমস্যা সমাধানের জন্য জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তিনি গণপ্রতিনিধিত্বশীল ও দেশপ্রেমিক সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি লস্কর মোহাম্মদ তসলিম, মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দীন মোল্লা ও ডা. ফখরুদ্দীন মানিক, মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, মজলিসে শুরা সদস্য জিয়াউল হাসান, ডা. মঈনুদ্দীন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের শিবির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ও পশ্চিম সভাপতি সাব্বির আহমেদ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।