Inqilab Logo

বুধবার, ২৯ মে ২০২৪, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

মাছ ধরতে গিয়ে পেলেন সমুদ্রের সোনা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০২ এএম

ছিলেন সাধারণ একজন জেলে। সমুদ্রে মাছ ধরে মাসে বড়জোর ২০ হাজারের মতো কামাই হতো তার। মাছ ধরতে গিয়ে ‘সমুদ্রের সোনা’ পেয়ে রীতিমতো কোটিপতি বনে গেছেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে থাইল্যান্ডে। দেশটির জেলে নারং ফেটচারাজ মাছ ধরতে গিয়ে পেয়েছেন ১১ কোটি মূল্যের ‘সমুদ্রের সোনা’। সব সময়ের মতোই সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন নারং। সমুদ্র থেকে ফেরার পথে সুরাট থানি প্রভিন্সের নিয়োম সৈকতে একটি পাথরের মতো বস্তু পান তিনি। পাথর সদৃশ ওই বস্তু সম্পর্কে কোনো ধারণা না থাকলেও সন্দেহ হয় তার। কাছে গিয়ে তিনি ওই বস্তুতে মোমের মতো উপাদান দেখতে পান। তিনি বুঝতে পারেন ওটা তিমির বমি হতে পারে। এরপর আর কোনো চিন্তা না করে ওই বস্তুটি প্রিন্স অফ সোংক্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের কাছে নিয়ে যান নারং। তার আশা ছিল, যদি কিছু টাকা-পয়সা পাওয়া যায়। তবে বিশেষজ্ঞদের পরীক্ষার পর জানা যায়, নারংয়ের খুঁজে পাওয়া পাথরের দাম ১১ কোটি টাকা। নারং মূলত খুঁজে পেয়েছেন তিমির বমি। এই বস্তুটির মূল্য প্রায় এক মিলিয়ন পাউন্ড। বিশেষজ্ঞেরা জানান, ওই বস্তুর নাম অ্যামবারগ্রিস। এটি মূলত স্পার্ম জাতীয় তিমির বমি যা জমে শক্ত হয়ে যায় এবং সমুদ্রে ভেসে বেড়ায়। নারংয়ের পাওয়া অ্যামবারগ্রিসের ওজন ৩০ কেজি। সর্বশেষ যে অ্যামবারগ্রিস পাওয়া গিয়েছিল তার দর অনুযায়ী নারংয়ের অ্যামবারগ্রিসের মূল্য ১১ কোটি টাকা। উল্লেখ্য, তিমির বমির শক্ত হয়ে যাওয়া এই রূপকে বলা হয় ‘সমুদ্রের সোনা’। প্রকৃত সোনার চাইতেও সমুদ্রের এই সোনার দাম অনেক বেশি। রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সমুদ্রের সোনা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ