Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পৃথিবীতে অণুজীব ছাড়া থাকবে না কোনও প্রাণ!

১০০ থেকে ২০০ কোটি বছরের মধ্যেই আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০১ এএম

সূর্যের তীব্র তাপে জ্বলেপুড়ে যাবে শরীর। আর সাগর, মহাসাগরের সবটুকু পানি শুকিয়ে যাওয়ার আগেই পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল থেকে নাই হয়ে যাবে অক্সিজেন। ছিঁড়ে ফালাফালা হয়ে যাবে পৃথিবীকে চার পাশ থেকে মুড়ে রাখা ওজোন গ্যাসের চাদর। সব ধরনের সৌর বিকিরণ ও মহাজাগতিক রশ্মির হামলা থেকে যা বাঁচিয়ে রাখে আমাদের।
সৌর বিকিরণ আর মহাজাগতিক রশ্মি চুরচুর করে ভেঙে দেবে এই নীলাভ গ্রহের বায়ুমণ্ডলকে। কার্বন ডাই-অক্সাইডের মতো যে গ্রিনহাউস গ্যাসের বাতাসে নির্গমনের মাত্রা বৃদ্ধিতে আমরা এখন যারপরনাই উদ্বিগ্ন, সেই গ্যাসই তখন আর থাকবে না বায়ুমণ্ডলে।
ফলে, অক্সিজেন-নির্ভর প্রাণের পক্ষে টিকে থাকা যেমন সম্ভব হবে না, তেমনি অসম্ভব হয়ে পড়বে উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষও। তাদের রান্নাবান্নার যাবতীয় প্রক্রিয়া পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে।
প্রায় ২৪০ কোটি বছরেরও আগে পরিস্থিতি যে রকম ছিল পৃথিবী আবার ফিরে যাবে সেই অবস্থায়। পৃথিবী ভরে যাবে তখন অত্যন্ত বিষাক্ত মিথেন গ্যাসে। বিভিন্ন তাত্ত্বিক মডেল খতিয়ে দেখে করা সাম্প্রতিক একটি গবেষণা এই অশনিসঙ্কেত দিয়েছে। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘নেচার জিওসায়েন্স’-এ।
গবেষকরা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের ঔজ্জ্বল্যের বাড়া-কমার প্রবণতা এবং তার প্রেক্ষিতে বায়ুমণ্ডলে কী ভাবে কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাসের পরিমাণ কমে-বাড়ে, সে সবের যাবতীয় তথ্যও বিশ্লেষণ করেছেন।
ভিনগ্রহে কী প্রকৃতির প্রাণের সন্ধান মিলতে পারে? সেই প্রাণ বেঁচে থাকে কোন কোন প্রাকৃতিক উপাদানের উপর নির্ভর করে তা জানার লক্ষ্যে নাসার একটি বিশেষ প্রকল্প ‘নেক্সাস ফর এক্সোপ্ল্যানেট সিস্টেম সায়েন্স’-এর অংশ এই গবেষণাটি।
দুই মূল গবেষক হলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির ভূবিজ্ঞানী অধ্যাপক ক্রিস রেনহার্ড ও জাপানের তোহো বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞানী অধ্যাপক কাজুমি ওজাকি জাবি।
দুই গবেষক বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, ‘এই পরিস্থিতি আসবে সূর্যের তাপে পৃথিবী জ্বলেপুড়ে খাক হয়ে যাওয়ার আগেই। সেই সময় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ভরে যাবে শুধুই বিষাক্ত মিথেন গ্যাসে। যে গ্যাসে নির্ভর করে বাঁচতে পারে বিশেষ কয়েকটি অণুজীব। তখন মানুষ, অক্সিজেনের উপর নির্ভরশীল কোনও প্রাণী বা সালোকসংশ্লেষ-নির্ভর কোনও উদ্ভিদই আর টিকে থাকতে পারবে না পৃথিবীতে। ২৪০ কোটি বছরেরও আগে এমনই অবস্থা ছিল পৃথিবীর। এই গ্রহ আবার সেই পরিবেশে ফিরে যাবে। সেটা গতে পারে আর ১০০ থেকে ২০০ কোটি বছরের মধ্যেই।’
গবেষকরা এ কথাও জানিয়েছেন, গবেষণার এই ফলাফল বুঝিয়ে দিচ্ছে, মিথেন বা অন্য কোনও গ্যাস নির্ভর প্রাণের অস্তিত্ব থাকতে পারে ভিনগ্রহের কোন স্থানে। এবার সেই ধরনের প্রাণের খোঁজার সময় এসে গেছে। সূত্র : নেচার জিওসায়েন্স, আর্থ স্কাই।



 

Show all comments
  • USA Bangla news ১১ অক্টোবর, ২০২১, ১:১৮ এএম says : 0
    চৌদ্দশ বছর আগে কোরআন বলে গিয়েছে, নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল এর কিছুই হবে না, মহান সৃষ্টিকর্তার ইশারায় সময় হলে।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Azim ১১ অক্টোবর, ২০২১, ১:১৯ এএম says : 0
    এটাই সেই কেয়ামত যেটা মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে ঘোষনা দিয়েছেন কুল্লু মান আলাইহা ফাহান ওয়াব ক রব্বুকা জিলজালালি ওলএকরম জগতের সব কিছু শেষ হয়ে যাবে এক মাএ তোমার রব বা পতিপালক ছাড়া
    Total Reply(0) Reply
  • Jibon Sathee ১১ অক্টোবর, ২০২১, ১:২০ এএম says : 0
    বৈজ্ঞানিক উদ্ধৃতি দিয়ে লাভ কি পাঠকরা ক্লাস 90% প্রাইমারির গণ্ডি
    Total Reply(0) Reply
  • NI LU ১১ অক্টোবর, ২০২১, ১:২০ এএম says : 0
    ধুর 100কোটি বছর পরের ঘটনা এতো আগাম জানার কি দরকার।কাল পরশু যদি ধ্বংস হয় পৃথিবী তাহলে জানিয়ে দিয়েন
    Total Reply(0) Reply
  • Nilesh Sarkar ১১ অক্টোবর, ২০২১, ১:২০ এএম says : 0
    একশ কোটি বছর পর কী হবে তা জেনে আমার কী লাভ?
    Total Reply(0) Reply
  • Md Ataur Rahman ১১ অক্টোবর, ২০২১, ৫:১২ এএম says : 0
    Thank,s
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ