গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর নিকুঞ্জ-২ এ মাহফুজা আক্তার নামে এক নারী চিকিৎসকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গত শনিবার রাতে তার লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
চিকিৎসক মাহফুজা আক্তারের রুমমেট রুম্পা রানী বলেন, গত শনিবার ডা. মাহফুজার প্রেমিক আমাকে ফোন দিয়ে বলে তার সাথে আমার ঝগড়া হয়েছে। একটু গিয়ে দেখেন কী অবস্থায় আছে সে। আমি গেলাম, বার বার দরজা নক করলেও সে দরজা খোলে না। এরপর তার প্রেমিক আমাকে আবার ফোন দিয়ে বলে সে বলেছে গলায় ফাঁস দেবে। পরে আমি আবার গিয়ে তাকে ডাকাডাকি করি এবং ফোন করি। আমি বাইরে থেকে শুনতে পাচ্ছিলাম তার ফোন বেজে যাচ্ছে, কিন্তু সে ধরছে না। এরপর আমি হোস্টেল সুপারকে ডেকে আনি। তিনিও ডাকাডাকি করলেও দরজা না খোলায় দরজা ভেঙে দেখা যায় সে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে। পরে আমরা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। পুলিশকে বিস্তারিত সব কিছু দিয়েছি। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
এদিকে ডা. মাহফুজার বাবা নূর মোহাম্মদ খান জানান, তার মেয়ের হঠাৎ বুকে ব্যথা হয়। পাশের রুমমেটকে বলে আমার বুকে ব্যথা। পরে পানি খেয়ে শুয়ে পড়লে আর দরজা খোলে না। পরে তারা তাকে মৃত অবস্থায় পায়। গলায় ফাঁস দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।
খিলক্ষেত থানার এসআই সাবরিনা রহমান মৌরী বলেন, ওই চিকিৎসক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেছেন। একটি পোশাক কারখানায় চিকিৎসক হিসেবে চাকরি করছিলেন, পাশাপাশি এফসিপিএস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তিনি আরও জানান, মাহফুজার পরিবারের সাথে যোগাযোগ কম ছিল। প্রেমঘটিত কোনো ব্যাপার ছিল কি না এমন প্রশ্নের জবাবে, বিষয়টি তদন্ত চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।