Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অবশেষে নদীগর্ভে তলিয়ে গেল সাতক্ষীরার সেই মসজিদটি, ইমামকে দেয়া হলো ‘ভাসমান মসজিদ’

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ অক্টোবর, ২০২১, ১২:৫২ পিএম

অবশেষে নদীগর্ভে বিলীন হলো সাতক্ষীরার আশাশুনি'র প্রতাপনগরের সেই মসজিদটি। শুক্রবার ভোরে খোলপেটুয়া নদীর ভাটার টানে ভেঙে পড়ে বায়তুন নাজাত জামে মসজিদটি। সম্প্রতি প্রস্তাবিত এলাকায় পানি সাঁতরে মসজিদটিতে আজান ও নামাজ আদায় করে যেতেন ঈমাম ও খতিব হাফেজ মঈনুর রহমান।
সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বাঁধ ভেঙে তলিয়ে যায় সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের মানুষের অসংখ্য ঘর-বাড়ি। শুধু তাই নয়, পানি বৃদ্ধির ফলে ওই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের অধিকাংশ এলাকা বিলীন হয়ে যায় নদী গর্ভে। বিলীন হয়নি শুধু হাওলাদার বাড়ি জামে মসজিদটি। নদীর পানির জোয়ার এলেই সাঁতরে মসজিদে যেতে হয় ইমাম হাফেজ মইনুর রহমানকে। উপায় না দেখে সাঁতরেই মসজিদে নামাজ ও আজান দিতেন ইমাম।
এ নিয়ে গেল ক’সপ্তাহ আগেই তার এমন একটি ভিডিও সারাদেশসহ বিশ্বের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ভাইরাল হন ওই মসজিদের ইমাম হাফেজ মইনুর রহমান।
এ বিষয়টি নজরে আসে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ডু সামথিং ফাউন্ডেশনের। তারা মসজিদের ইমামকে নৌকা ও নগদ টাকা উপহার দিয়ে সহায়তা করেছে।
এরপর পানিতে ডুবে থাকা সেই মসজিদের পাশে দেশের প্রথম এবার ভাসমান জামে মসজিদ চালু হলো। মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) জোহরের নামাজের সময় ভাসমান মসজিদটি উদ্বোধন করা হয়। ভাসমান মসজিদটির উদ্বোধন করেন চট্টগ্রামের আলহাজ শামসুল হক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নাছির উদ্দিন। ওই ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে মুসল্লিদের দুঃখ দুর্দশা লাঘবে চট্রগ্রামের আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা ব্যয়ে ভাসমান মসজিদটি ইমাম হাফেজ মইনূর ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সাতক্ষীরার আশাশুনির প্রতাপনগরে এলাকার মাসুম বিল্লাহ জানান, কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়ার জোয়ারভাটা চলছে। এখানকার মানুষের অধিকাংশ কাজ নৌকাতেই সারতে হয়। প্রতাপনগরের হাওলাদার বাড়ি জামে মসজিদের মুসল্লিদের কখনও কখনও কোমর বা হাঁটু সমান পানিতে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে হয়। হাওলাদার বাড়ি জামে মসজিদটি বেড়িবাঁধের ভাঙনে খোলপেটুয়া নদীর জোয়ার ভাটায় বিধ্বস্ত প্রায়। স্থানীয় সেই মুসল্লিদের দুর্ভোগ লাঘবে সামসুল হক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা ব্যয়ে ভাসমান মসজিদটি তৈরি করা হয়। মসজিদ কমিটির সভাপতি ও ইমাম হাফেজ মাঈনুর রহমানের কাছে মসজিদটি হস্তান্তর করা হয়।
জানা যায়, ভাসমান মসজিদটির দৈর্ঘ্য ৫০ ফুট, প্রস্থ ১৬ ফুট। রয়েছে আজান দেওয়ার জন্য একটি মাইকসেট, ওজুখানা, পানি ব্যবহারের জন্য চারটি ট্যাপ ও একটি টয়লেট। এই মসজিদে মুসল্লিদের তেলাওয়াত করার জন্য রাখা আছে চারটি পবিত্র কোরআন মাজিদ।
ভাসমান এ মসজিদে একসঙ্গে ৫০ থেকে ৫৫ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। এখন থেকে আজান দেওয়া ও নামাজ আদায় ভাসমান মসজিদেই হবে। আগে এলাকার ৩০০ থেকে ৪০০ মুসল্লি এই মসজিদে নামাজ আদায় করতেন। তবে জুমার দিন এত মানুষের জায়গা এখানে হবে না। জুমার দিন পার্শ্ববর্তী কোনো মসজিদে নামাজ আদায় করতে হবে।



 

Show all comments
  • Ayub ১০ অক্টোবর, ২০২১, ২:৩২ পিএম says : 0
    Bangladesh government donate Nepal "Buddish Pegota". But don't see this horrible condition of a local Mosque.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভাঙ্গন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ