Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঢাবির ‘চ’ ইউনিটে আসন প্রতি প্রতিদ্বন্দ্বী ১১৫ জন

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ১০ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০১ এএম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের চারুকলা অনুষদভুক্ত ‘চ’ ইউনিটের (বহুনির্বাচনী) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে গতকাল শনিবার। বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের আরো সাতটি বিভাগীয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে এ পরীক্ষা হয়েছে।
মাত্র ১৩৫ আসনের বিপরীতে ‹চ’ ইউনিটে এবার মোট আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ১৫ হাজার ৪৯৬ জন। সে হিসাবে আসনপ্রতি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে প্রায় ১১৫ জন পরীক্ষার্থী।

এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পরীক্ষায় বসার কথা ছিল ৮ হাজার ১৬৬ জন পরীক্ষার্থীর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ হাজার ৫৭৭ জন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯৪৩ জন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮৯৭ জন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ হাজার ২৭০ জন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৬১ জন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪২৮ জন ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ হাজার ৯৬৪ জন পরীক্ষার্থীর। যদিও বেশকিছু কেন্দ্রে শতভাগ উপস্থিতি ছিল না বলে জানা যায়। কাওসার নামে এক শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসার আবেদন করেছে অথচ বসেনি, বলেন, ‹খ› ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার প্রস্তুতি সরূপ ‹চ› ইউনিটে পরীক্ষা দিতে চেয়েছিলাম। ভেবেছিলাম বিগত বছরগুলোর মত এবারও ‹খ› ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার পূর্বেই ‹চ› ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তাই মানসিক প্রস্তুতি হিসেবে ‹খ› ইউনিটের পূর্বেই ‹চ› ইউনিটের পরীক্ষা দিব। কিন্তু মূল টার্গেট হলো ‹খ› ইউনিট। এদিকে পরীক্ষা শেষে ঢাবি ভিসি প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, এখনো পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় কোনো নেতিবাচক খবর নেই। এমন খবর থাকলে আপনাদের (সাংবাদিক) মাধ্যমেই আমরা সবার প্রথমে জানতে পারি। একটি গ্রহণযোগ্য পরীক্ষা আয়োজনের জন্য আনুষঙ্গিক উপাদান হিসেবে আপনাদের ভূমিকা অন্যতম। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আমাদের সহকর্মীবৃন্দ, ভিসিবৃন্দ এবং ডিনবৃন্দও আমাদের আন্তরিকতার সাথে সহযোগিতা করেছেন। ফলশ্রুতিতে সম্মিলিত আন্তরিক প্রয়াসের ফলে কোথাও কোনো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেনি।

প্রশ্নের মান নিয়ে ভিসি বলেন, প্রশ্নের গুণগতমান নিয়ে শিক্ষার্থীরা ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছে। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে পরীক্ষা ব্যবস্থাপনার বিষয়টি প্রতিপালিত হয়েছে। সবকিছু মিলে সার্বিকভাবে সুন্দর ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। একটি গ্রহণযোগ্য, বিশ্বস্ত এবং সর্বমহলে প্রশংসিত পরীক্ষা আয়োজনের জন্য এভাবে সকলের সদয় সহযোগিতা প্রয়োজন।

আগামী ২২ অক্টোবর ব্যাবসায় অনুষদভুক্ত ‹গ› ইউনিটের পরীক্ষা এবং ২৩ অক্টোবর সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‹ঘ› ইউনিটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের ঢাবি ভর্তি পরীক্ষা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঢাবি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ