পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মহামারীর ধাক্কা সামলে রফতানি এবং ভোগ ব্যয় বাড়তে শুরু করায় চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৬ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়তে পারে বলে মনে করছে বিশ্ব ব্যাংক। গতকাল প্রকাশিত বিশ্ব ব্যাংকের ষান্মাষিক প্রতিবেদনে গত ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছে ৫ শতাংশ, যদিও বাংলাদেশ পরিসংখ্যা ব্যুরোর হিসাবে তা ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ হওয়ার কথা। বিশ্ব ব্যাংক বলছে, অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের বর্তমান গতি অব্যাহত থাকলে আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ হতে পারে।
‘শিফটিং গিয়ার্স: ডিজিটাইজেশন অ্যান্ড সার্ভিস লেড ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক এবারের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বে ভোগ্যপণ্যের চাহিদা বাড়ায় এবং করোনাভাইরাস সংক্রমণের সর্বশেষ ঢেউয়ের মধ্যে বিস্তৃত পরিসরে না করে এলাকাভিত্তিক বিধিনিষেধ আরোপ করায় দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়াও অব্যাহত রয়েছে। তবে ঘুরে দাঁড়ানোর এই গতি সব দেশে সমান বা টেকসই নয়। দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ দেশেরেই মহামারীপূর্ব অর্থনৈতিক অবস্থায় ফিরে যেতে আরও অনেক সময় লাগবে।
বিশ্ব ব্যাংকের প্রাক্কলন বলছে, ২০২১ ও ২০২২ সালে এ অঞ্চলের অর্থনীতি ৭ দশমিক ১ শতাংশ বাড়তে পারে। তবে দেশভেদে এই প্রবৃদ্ধি সমান হবে না। এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় দেশ ভারতের অর্থনীতি ২০২০-২১ অর্থবছরে মহামারীর ধাক্কায় ৭ দশমিক ৩ শতাংশ সঙ্কুচিত হয়ে পড়েছিল। সরকারি বিনিয়োগ ও প্রণোদনার সুবিধা নিয়ে সেই অবস্থান থেকে এবার ৮ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে বলে প্রাক্কলন করেছে বিশ্ব ব্যাংক।
মহামারীর মধ্যে মালদ্বীপও বড় ধরনের দুর্বিপাকে পড়েছিল, গতবছর তাদের অর্থনীতি সঙ্কুচিত হয়েছিল ৩৩ দশমিক ৩ শতাংশ। সংক্রমণ কমে পর্যটনে গতি আসায় মালদ্বীপ এ বছর ২২ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি পেতে পারে বলে প্রতিবেদনে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। সেই তুলনায় এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের গতি অনেকটা ধীর। ভুটান এ অর্থবছরে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ, নেপাল ৩ দশমিক ৯ শতাংশ এবং পাকিস্তান ৩ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি পেতে পারে।
দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে বিশ্ব ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টভিগ শেফার বলেন, মহামারী এ অঞ্চলের অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে। পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া চলছে, তবে এর সাফল্য অনেকাংশে নির্ভর করছে টিকাদানের গতি, করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের আবির্ভাব হলে তা সামাল দেওয়া এবং বিশ্ব অর্থনীতির গতিধারার ওপর।
মহামারীর শুরুর ধাক্কায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি নেমে গিয়েছিল ৩ দশমিক ৫১ শতাংশে, যা তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম। সরকার গত অর্থবছরের বাজেটে ৮ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরলেও মহামারী পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করায় তা সংশোধন করে ৬ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধির প্রাক্বলন করা হয়েছিল। অর্থবছর শেষে গত অগাস্টে পরিসংখ্যার ব্যুরোর প্রাক্কলনে তা ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশে নেমে আসে। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে সরকার ৭ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরেছে। তবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবির হিসাবে এই প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।