নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ইংল্যান্ডের পাকিস্তান সফর বাতিলের ঘটনা এখন বেশ পুরনো। তবে রেশ যেন কিছুতেই কাটছেই না। বিশ্বকাপের আগে গুরুত্বপূর্ণ সিরিজটি বাতিলের বিষয়টি পাকিস্তান তো বটেই ঠিকভাবে দেখছেন না অনেকেই। ক্যারিবিয়ান সাবেক পেসার মাইকেল হোল্ডিং পুরো বিষয়টিকে দেখছেন ‘পশ্চিমা দাম্ভিকতা’ হিসেবে। সদ্যই ধারাভাষ্যকে বিদায় বলা এই কিংবদন্তি সফর বাতিলের বিষয়টিকে দেখছেন ইংলিশদের একধরনের স্বেচ্ছাচারিতার কারণ হিসেবে। ক্রিকেট ইস্যুতে খোলামেলা কথা বলা সাবেক এই ক্যারিবিয়ান ক্রিকেট রাইটার্স ক্লাব পিটার স্মিথ পুরস্কার পাওয়ার পর ইংলিশদের ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) দিকে এসব অভিযোগ তোলেন। তিনি মনে করেন সফর বাতিলের পর ইংলিশদের বিবৃতি বøাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলনের মত বৃটিশদের একটি লুকানো আবর্জনা।
ইংলিশদের ক্রিকেট বোর্ড নিরাপত্তার ইস্যু না দেখিয়ে খেলোয়াড়দের মানসিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে পাকিস্তান সফর বাতিল করেন। তবে নিউজিল্যান্ডের সিরিজ বাতিলের তিনদিনের মাথায় তাদের এমন ঘোষণাকে খুব একটা ভালোভাবে নেয়নি পাকিস্তান। যদিও পাকিস্তানের যাওয়ার আশ্বাস দিয়ে একটি বিবৃতি দিয়ে রেখেছে তারা। সেটিকেও ভালোভাবে নেননি মাইকেল হোল্ডিং। ইংলিশদের পাকিস্তান সফর বাতিলকে পশ্চিমা দাম্ভিকতা হিসেবে উল্লেখ করে তিনি ইসিবির বিবৃতিকে দেখছেন আইওয়াশ হিসেবে, ‘এই সব বিবৃতির কোন মানে হয় না। কেউ সামনে এসে আপনার মুখোমুখি হতে চায় না। কারণ ওরা জানে, যা করছে সেটা ভুল। সেই কারণেই বিবৃতির পিছনে নিজেদের মুখ লুকাচ্ছে। এই ঘটনা আবারও পশ্চিমী ঔদ্ধত্যকে তুলে ধরে, যার সারবস্তু হল, তুমি যাই ভাব না কেন, আমি তোমার সঙ্গে আমার যেমন ইচ্ছা, ঠিক সেইরকম ব্যবহারই করব।’
পাকিস্তানও ফুসছে সফর বাতিলের ঘটনায়। তারা ইতোমধ্যে নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপে ক্রিকেট যুদ্ধের আভাস দিয়েও রেখেছে। এমনকি কড়া ঘোষণা দিয়ে রেখেছে পাকিস্তানের সঙ্গে খেলতে হলে এখন থেকে পাকিস্তানেই যেতে হবে দলগুলোকে। হোল্ডিং মনে করেন পাকিস্তানের জায়গায় নামটা ভারত হলে কখনই সফর বাতিল করতে পারত না ইংল্যান্ড। ‘মাত্র চারদিনের পাকিস্তান সফর? আমি এটা নিশ্চিত করে বলতে পারি, তারা একই কাজ কখনই ভারতের সঙ্গে করতে পারতো না। কারণ ভারত শক্তিশালী এবং ধোনী।’
শুধু কোনো দলকেই নয়, হোল্ডিং সমালোচনার কীরে বিদ্ধ করেছেন ক্রিকেটের নিংন্ত্রক সংস্থাকেও। দরাজ কণ্ঠের এই ধারাভাষ্যকার মনে করেন বর্তমানে আইসিসি খেলাকে নিয়ন্ত্রণ করে ছেড়ে দিয়েছে। তাদের এখন লক্ষ্য কয়েকটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করে শুধুমাত্র অর্থ উপার্জন করা। পাশাপাশি আঙ্গুল তুলে সংস্থাটির বিশেষজ্ঞের দিকেও, ‘আমার বর্তমান অবস্থাসব ক্রিকেটের দৌলতেই। তবে বর্তমানে যারা এই খেলা পরিচালনা করে তাদের নিয়ে একেবারেই হতাশ। সত্যি বলতে আমি চলে যাওয়ার পর এই খেলা একটুও মিস করব না।’
ক্যারিবিয়ানদের হয়ে ১৯৭৫ সালে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয় হোল্ডিংয়ের। সবশেষ ম্যাচ খেলেন ১৯৮৭ সালের ফেব্রæয়ারিতে। ক্যারিবিয়ান এই পেসার ৬০ টেস্টে ১১৩ ইনিংসে ২৪৯ উেইকেট শিকার করেছেন। ওয়ানডে ক্রিকেটে ১০২ ম্যাচে তার উইকেট ১৪২টি। ব্যাট হাতেও দারুণ কিছু ইনিংস উপহার দিয়েছেন ডানহাতি এই পেসার। কিছুদিন আগেই দীর্ঘ প্রায় চার দশকের বর্ণিল ধারাভাষ্যকারের ক্যারিয়ারেও ইতি টেনেছেন ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি। তবে যখনই ক্রিকেটের অস্তিত্বের প্রশ্ন সামনে আসে, এভাবেই প্রকাশ্যে আসেন নির্ভিক সমালোচকের ভুমিকায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।