বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
উদ্বোধনের প্রায় দু’বছর পরও কোন প্রশিক্ষক পায়নি শিক্ষার্থীদের জন্য নির্মিত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) ব্যায়ামাগার। ফলে শিক্ষার্থীরা সঠিকভাবে ব্যায়ামাগারের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে না পারায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে প্রায় ৫ লাখ টাকা ব্যয়ে কেনা এসব যন্ত্রাংশ। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের মূলফটকের পাশে শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যায়ামাগার উদ্বোধন করেন ভিসি অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী। তবে সম্প্রতি সেটা ক্যাফেটেরিয়ার দ্বিতীয় তলায় স্থানান্তর করা হয়। উদ্বোধনের সময় ব্যায়ামাগারের জন্য ৪ লাখ ৭০ হাজার ৬৭৪ টাকা ব্যয়ে ১৮ ধরণের অন্তত ২৮ টি ব্যায়াম যন্ত্র কেনা হয়। তবে ব্যায়ামাগারে কোন প্রশিক্ষক না থাকায় এর সুফল ভোগ করতে পাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা। তাছাড়া ব্যায়ামাগার দেখভালের জন্য নির্দিষ্টভাবে দায়িত্বরত কেউ না থাকায় প্রায়ই সময় বন্ধ থাকে এটি। অনেক সময় ব্যায়াম করতে গিয়েও ফেরত আসেন শিক্ষার্থীরা। এতে অকেজো হয়ে পড়েছে বিভিন্ন যন্ত্র। বিশ্ববিদ্যালয়ের শারিরীক শিক্ষা বিভাগসূত্রে জানা যায়, এই পযর্ন্ত অন্তত তিনটি যন্ত্রাংশ অকেজো হয়ে গেছে, যেগুলোর দাম প্রায় ৭০ হাজার টাকা। এছাড়া একটা ওজন মেশিন হারিয়ে গিয়েছে। তবে কীভাবে হারিয়েছে তা জানে না দায়িত্বপ্রাপ্ত এ দফতরটি। শিক্ষার্থীরা বলছেন নির্দিষ্ট কোন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি না থাকায় ব্যর্থ হচ্ছে ব্যায়ামাগার নির্মাণের উদ্দেশ্য।
একাউন্টিং বিভাগের শিহাব উদ্দিন বলেন, প্রায়ই সকাল বেলা ব্যায়ামাগার বন্ধ থাকে। কার হাতে চাবি থাকে সেটাও জানি না আমরা। তাছাড়া ব্যায়ামাগারে কোন প্রশিক্ষক বা লোক না থাকায় এর সঠিক নিয়মকানুনও জানি না আমরা। নিয়ম না জেনে শারিরীক অনুশীলন করলে হিতে বিপরীত ঘটে যেতে পারে। শারীরিক শিক্ষা বিভাগের সহকারী পরিচালক মনিরুল আলম বলেন, আমার কাছে ব্যায়ামাগারের একটি চাবি আছে। শিক্ষার্থীরা প্রয়োজন অনুযায়ী নিয়ে যায় এবং পরে জমা দেয়। তবে যন্ত্রাংশের সঠিক ব্যবহার না হওয়ায় তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তবে ইতোমধ্যে যেগুলো নষ্ট হয়েছে সেগুলো পরির্বতন করে দেওয়া হবে।
এই বিষয়ে রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যায়ামগারের জন্য কোন পদ নাই। যার ফলে আমরা চাইলেই একজন লোক নিয়োগ দিতে পারি না। তবে আমরা ইউজিসির কাছে আবেদন করব যাতে ব্যায়ামগারে একজন প্রশিক্ষকের পদ দেওয়া হয়।
একই কথা বলেন ভিসি অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী। তিনি বলেন, ব্যায়ামাগারে প্রশিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। ব্যায়ামাগার প্রশিক্ষক পদের জন্য শীগ্রই আমরা ইউজিসি বরাবর আবেদন করব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।